সৌদি প্রবাসী মোজাম্মেল দেশে ফিরবেন, তার দেশে ফেরা আর হলো না। বিমান বন্দরেই তাকে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করতে হলো।
কথা ছিল বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) রাতে সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশের বিমানে উঠবেন মোজাম্মেল। সব প্রস্তুতি সেরে ব্যাগ নিয়ে জেদ্দাহ বিমান বন্দরেও এসেছিলেন। কিন্তু দেশের বিমানে আর চড়া হলো না তার। পাড়ি জমালেন অনন্তকালের বিমানে।
সৌদি আরবে অবস্থানরত বাংলা’দেশিদের মধ্যে যারা ওমরা ভিসা, ভিজিট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, মহিলা গৃহকর্মী ভিসা এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আটকে ছিলেন-এমন ৪১৯ যাত্রী নিয়ে বৃহস্পতি’বার রাতে একটি বিশেষ বিমান ঢাকার পথে রওয়ানা দেয়। এ বিমানে অন্যদের সঙ্গে দেশে ফেরার কথা ছিল টাঙ্গাইলের মোজাম্মেলের।
জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের ফার্স্ট সেক্রেটারি মোস্তফা জামিল জানান, মোজাম্মেল বাড়ি যাওয়ার জন্য এয়ারপোর্টে এসে ছিলেন। প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল তার। মোজাম্মেলের ভাইকে বললাম ওনার তো দেশে যাওয়ার আগে চিকিৎসা দরকার।
আমার কেমন যেন প্রথম থেকেই মনে হচ্ছিল লোকটা বোধহয় আর বেশিক্ষণ বাঁচবেনা। যা ভাবলাম তাই হলো। এয়ারপোর্টে বসেই লোকটা মারা গেলেন। কষ্টে বুকটা ফেটে যাচ্ছে, সবাইকে বাড়ি পাঠাতে পারলাম, মোজাম্মেলকে পারলাম না। পাসপোর্টের তথ্য অনুযায়ী মোজাম্মেলের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি থানার পলাশতলী গ্রামে। তার বাবার নাম জোয়াদ আলী। বয়স ৪২ বছর।