নন্দীগ্রামে মাতব্বরের প্রথাবে গা ভাসিয়ে গ্রাম গঞ্জের অনেক মানুষ পরিচালনা করছেন বিচারকার্য।
তানভীর ইসলাম রাজু, বগুড়া প্রতিনিধি-ঃ
নন্দীগ্রামে মাতব্বরের প্রথাবে গা ভাসিয়ে গ্রাম গঞ্জের অনেক মানুষ পরিচালনা করছেন বিচারকার্য।
বগুড়ার নন্দীগ্রামে মাতব্বরের প্রথাবে গা ভাসিয়ে বিভিন্ন গ্রামে পরিচালনা করা হচ্ছে বিচার কার্য, যাদের বিচারিক আইনের সামান্য টুকুও জ্ঞান নেই গ্রামের সেসব ব্যাক্তিই নিজেদের আদালত তৈরি করে জজ সেজে রায় দিচ্ছে এবং নিজেরাই রায় বাস্তবায়ন করছে, তদন্তে জানা যায়, নন্দীগ্রাম উপজেলার শেখের মাড়িয়া গ্রামে গরু চোর সন্দেহে গ্রামের কিছু মাতব্বর এক ব্যাক্তির ওপর দিনভর নির্যাতন চালিয়েছে, পরে থানা পুলিশ খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে। অন্যদিকে নন্দীগ্রাম উপজেলার মাটিহাস গ্রামে এক ব্যক্তির বাড়ির চারপাশে বেড়া দিয়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়াকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনায় গ্রামের কিছু মাতব্বর সেই প্রতিবাদকারী ব্যক্তি কে সালিশের মাধ্যমে মারধর সহ দেড় লক্ষ টাকা জরিমানার রায় প্রদান করেন এবং তৎক্ষণাৎ রায় বাস্তবায়নের জন্য তার কাছ থেকে জমি বন্ধক আকারে লিখে নেয়। এসব মাতব্বরদের ভয়ে ভুক্তভোগীরা থানা পুলিশের শরণাপন্ন না হওয়ায় পুলিশ প্রশাসনের নজর ফাঁকি দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের মাতব্বরি। এছাড়াও নন্দীগ্রাম উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামে কোরআন শিখতে গিয়ে শিক্ষক কর্তৃক ধর্ষণের ফলে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী গর্ভবতীর ঘটনা সালিশের মাধ্যমে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা কালে চারজন মাতব্বর কে পুলিশ গ্রেফতার করে। আইন-আদালত কে অমান্য করে যদি এরকম বিচার কার্য চলতে থাকে তাহলে মাতব্বরদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়বে সাধারন মানুষ, এ নিয়ে জনমনে শঙ্কা কাজ করছে।