গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটির সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল দুই হাজার ৩৫২ জনে। এছাড়া একই সময়ে নতুন করে দুই হাজার ৬৬৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে সর্বমোট এক লাখ ৮৩ হাজার ৭৯৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হলেন।
আজ রবিবার (১২ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন হেলথ বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
দেশের মোট ৭৭টি ল্যাবে করোনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে তিনি জানান, আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১১ হাজার ২১০ জনের। এর মধ্যে পরীক্ষা হয়েছে ১১ হাজার ৫৯টি নমুনা। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৯ লাখ ৪০ হাজার ৫২৪টি নমুনা।
তিনি আরো জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরো পাঁচ হাজার ৫৮০ জন। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৯৩ হাজার ৬১৪ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫০ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৪ দশমিক ১১ শতাংশ, এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ। তবে শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ২৮ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের বিশ্লেষণ তুলে ধরে নাসিমা সুলতানা বলেন, মৃত ৪৭ জনের মধ্যে ৩৬ জন পুরুষ এবং ১১ জন নারী। এখন পর্যন্ত মারা যাওয়া ২ হাজার ৩৫২ জনের মধ্যে পুরুষ এক হাজার ৮৬০ জন, যা শতকরা ৭৯ দশমিক ০৮ শতাংশ এবং নারী ৪৯২ জন, শতকরা হিসাবে ২০ দশমিক ৯২ শতাংশ।
গেল ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের বয়স বিশ্লেষণে জানানো হয়, মারা যাওয়াদের মধ্যে ১১ থেকে ২০ বছরের একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের দুজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের তিনজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের চারজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের ছয়জন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সসীমার দুজন রয়েছেন।
মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগেরই বাসিন্দা রয়েছেন ২৩ জন, চট্টগ্রাম ও খুলনায় ছয়জন করে, রাজশাহী ও সিলেটে চারজন করে এবং বরিশাল ও রংপুরে দুজন করে মৃত্যুবরণ করেছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন ৪৩ জন এবং বাড়িতে থেকে চারজন।
গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস এখন বৈশ্বিক মহামারীতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। সেদিন তিনজন আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার কথা জানায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। এরপর মার্চ মাস শেষে ৫০ জনের মতো শনাক্তের কথা জানা গেলেও এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আক্রান্তের হার বাড়ে খুব দ্রুত।