কুয়েত, কাতার ও বাহরাইনে বিভিন্ন অপরাধে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ফেরত ২১৯ বাংলাদেশিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত শনিবার তাদের ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ঢাকা সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়। আবেদনে তাদের সরকারের ভাবমূর্তি নষ্টের অভিযোগ করা হয়। ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস আবেদন মঞ্জুর করে ওই ২১৯ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আজ রোববার বিষয়টি জানা গেছে। খবর আমাদের সময়’র।
জানা যায়, কুয়েত, কাতার ও বাহারাইনে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হওয়া এসব বাংলাদেশির সাজাভোগরত অবস্থায় করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সাজা মওকুফ করে সম্প্রতি তাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশে আসার পর তাদের রাখা হয় তুরাগে সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত কোয়ারেন্টিন সেন্টারে। কিন্তু কোয়ারেন্টিনে থাকাবস্থায় তারা বিভিন্ন গ্রুপ বেধে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্টের সড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় মর্মে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে আসে। ফলে তাদের ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
তাদের আদালতে পাঠানো তুরাগ থানার পরিদর্শক শফিউল্লাহ আবেদনে উল্লেখ করেন, বিদেশফেরত ২১৯ জন বাংলাদেশি কুয়েত, কাতার ও বাহরাইনে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত থাকায় সে দেশের সরকার তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়। করোনাভাইরাসের কারণে তাদের সাজা মওকুফ করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। দেশে আসার পর তাদের সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে তুরাগ এলাকায় কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। কিন্তু তারা সেখানে থেকে বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য শলা-পরামর্শ করছিলেন। তারা সরকারকে ‘ধ্বংস’ করার জন্য পরামর্শ করছিলেন। তাদের এ বিষয়গুলো আমাদের নজরে আসে। তাই তাদের ১৫৪ ধারায় আটক রাখার আবেদন করেছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রকৃত রহস্য জানা যাবে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করছি।
কারাগারে যাওয়া আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, মামুন, ফয়জুল্লাহ, লিটন, জহিরুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, জুয়েল, লিটন মির্জা, আফসার উদ্দিন শিমুল, জাকির হোসেন, সগির, আরিফুল ইসলাম, আমির হোসেন, মিজানুর রহমান, আবুল খায়ের, লিয়াকত আলী, আজাদ হোসেন, কামাল, আব্দুল্লাহ আল মামুন, লিটন, রতন ও মারুফ।