কোরবানি উপলক্ষে অনিশ্চিয়তা ও চরম দুঃশ্চিন্তায় গরূ খামারিরা।
আবদুল্লাহ আল মামুন, বিভাগীয় প্রতিনিধি-(খুলনা)
কোরবানি উপলক্ষে অনিশ্চিয়তা ও চরম দুঃশ্চিন্তায় গরূ খামারিরা।
কোরবানি উপলক্ষে চরম অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন যশোরের খামারিরা। চাহিদার তুলনায় বেশি গরু উৎপাদন হলেও করোনার কারণে গরু বিক্রি করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে শঙ্কিত তারা।তবে খামারিদের রক্ষায় হাট সম্প্রসারণের পাশাপাশি অনলাইনে পশু বিক্রির বিকল্প উদ্যোগ নেয়ার পরামর্শ অভিজ্ঞজনদের। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছে বলে দাবি জেলা প্রশাসনের।যশোরের শার্শা উপজেলার পুটখালী এলাকার গরু খামারি নাসির হোসেন। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে প্রতিবছর তিনি ৪’শ থেকে সাড়ে ৪শ’ গরু হৃষ্টপুষ্ট করে থাকেন। করোনার কারণে এ বছর তার খামারে পালন করা হয়েছে আড়াইশ’ গরু। সারা বছর গরু মোটাতাজাকরণ করতে বড় অংকের টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। তাই ঈদে গরু বিক্রি করতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে চরম দুঃশ্চিন্তায় আছেন।একই অবস্থা ঝিকরগাছার হাসানসহ জেলার ছোট-বড় সব খামারির।খামারিরা বলছেন, গরুগুলো ঈদের জন্য আমরা মোটাতাজাকরণ করছি। করোনার কারণে দাম কম। খাবারের দাম করোনার কারণে যে দাম তাতে করে লস হতে পারে বলে আমরা মনে করছি। এ অবস্থায় খামারিদের রক্ষায় হাট সম্প্রসারণের পাশাপাশি অনলাইনে পশু বিক্রির বিকল্প উদ্যোগ নেয়ার পরামর্শ অভিজ্ঞজনদের। যশোর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শফিউল আলম বলেন, একই জায়গা না হয়ে বিভিন্ন জায়গায় যেন হাট বসে। সেজন্য লোকাল প্রশাসনের সাথে আলোচনা করতে হবে। যশোর শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক ইনভেস্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আহসান কবীর বলেন, বিকল্প হচ্ছে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম দাঁড় করিয়ে পশু কেনাবেচা হয়। বাংলাদেশে এখন এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসক জানান, অনলাইনে পশু বিক্রি এবং হাট সম্প্রসারণের কাজ ইতোমধ্যে শুরু করেছেন। যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ শফিউল আরিফ বলেন, অনলাইনে যেন গরু কেনা-বেচা হয় সেব্যাপারে আমরা উৎসাহ দিচ্ছি। এবং গরুর হাটগুলো যেন বড় জায়গায় হয় সেজন্য আমরা ইজারাদারদের সাথে কথা বলে সে ব্যবস্থা নেবো। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এ বছর জেলার ১০ হাজার ২শ ৮২টি খামারে ৬৮ হাজার গরু ও ছাগল মোটাতাজা করা হয়েছে।