সেনবাগে ভূমিহীন অসহায় পরিবারকে ৬ শতাংশ জমির দলিল হস্তান্তর উপজেলা প্রশাসনের।
মোঃ ফখর উদ্দিন,নোয়াখালী প্রতিনিধি-ঃ
সেনবাগে ভূমিহীন অসহায় পরিবারকে ৬ শতাংশ জমির দলিল হস্তান্তর উপজেলা প্রশাসনের।
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের পূর্ব ইয়ারপুর গ্রামে ভূমিহীন আবুল খায়ের (৭০) ও তার অসহায় পরিবারকে সরকারি খাস জমি দিয়ে মাথা রাখার ঠাঁই করে দিলেন উপজেলা প্রশাসন।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক তম্ময় দাসের নির্দেশনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সাইফুল ইসলাম মজুমদার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ক্ষেমালিকা চাকমা সেনবাগ উপজেলার ৩৪৪ নং ইয়ারপুর মৌজার ৮৩৮৬ দাগে আনুষ্ঠানিক ভাবে ৬ শতাংশ জমির দলিল ওই পরিবারের হাতে হস্তান্তর করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপি’র নেতা মো: আনোয়ার হোসেন বাহার,ইয়ারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ উল্যা বিএসসি, এ্যাডভোকেট জহির উদ্দিন সবুজ,গণমাধ্যম কর্মী এম.এ অউয়াল,মো: হারুন, ইউপি সদস্য মো: মানিক,ইউনিয়ন ভূমি অফিসের স্টাফ সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।
ভূমিহীন পরিবারের পাশে দাঁড়ানো এ্যাডভোকেট সবুজ গনমাধ্যমকে জানান,ইয়ারপুরের ভূমিহীন বয়োবৃদ্ধ আবুল খায়ের এর স্ত্রী নুর নাহার তার ৫ সন্তানকে নিয়ে মানবতের জীবন যাপন করছে। ৪ ছেলে ১ মেয়ের মধ্যে আবুল কাসেম (২৫) ও আবুল হাসেম (২৩) দুই ভাই বাক প্রতিবন্ধী। মানুষের বাড়ী বাড়ী কাজ করে কখনো কাছারিঘর বারান্দায় রাত যাপন করতো পরিবারটি।কোন সময় অনাহারে অর্ধাহারে থাকলেও টয়লেট সুবিধা পেতোনা পরিবারটি।এ্যাডভোকেট সবুজের সহায়তায় বৃদ্ধ আবুল খায়ের জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ক্ষেমালিকা চাকমা সরেজমিন পরিদর্শন করে সরকারী খাস খতিয়ান ভূক্ত ৬ শতাংশ জায়গা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ক্রমে ভূমিহীন পরিবারটিকে দিয়ে তার পাশে দাঁড়িয়ে এক নজির স্থাপন করলেন ।
ভূমিহীন পরিবারকে জায়গার দলিল হস্তান্তর করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সাইফুল ইসলাম মজুমদার জানান,সরকার অসহায় মানুষের জন্য বিনামূল্যে ঘর নির্মান করে দিচ্ছে। সেনবাগ উপজেলায় আশ্রায়ন প্রকল্পের আওতায় সহাস্রাধিক ঘর অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। ঘর নির্মান সহ বিভিন্ন ভাতা অনুমোদনে কাউকে ঘুষ না দিতে তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।
ভূমিহীন বৃদ্ধ আবুল খায়ের ও স্ত্রী নুর নাহার ৬ শতাংশ জায়গার দখল বুঝিয়ে নিয়ে খুশীতে ও আনন্দে আত্মহারা হন।