জেলার খবর

কাহারোলে ওয়ার্ল্ডভিশনের মানবিক কর্মিদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও অমানবিক কাজের অভিযোগ পাচ মাসেও তদন্ত মিলেনি

রশিদুল ইসলাম টিপু, দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ

কাহারোলে ওয়ার্ল্ডভিশনের মানবিক কর্মিদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও অমানবিক কাজের অভিযোগ পাচ মাসেও তদন্ত মিলেনি

দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলায় ওয়ার্ল্ডভিশন বাংলাদেশ কাহারোল এপির দুই কর্মির বিরুদ্ধে স্বাক্ষরিত দুই জন পৃথক ভাবে বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ করেছে।
গত ৯ জানুয়ারী পৃথক পৃথক ভাবে কোইকা প্রজেক্টের ৪ নং তারগাও ইউনিয়নের সুপার ভাইজার সুমন চন্দ্র রায় ও প্রোগ্রাম অফিসার নমিতা সরকারের বিরুদ্ধে লিখিত তিন নারী বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ওয়ার্ল্ডভিশন বাংলাদেশ কাহারোল এপি ম্যানেজারের নিকট বিচার দাবি করে অভিযোগ দাখিল করেন।

যার অনুলিপি নির্বাহী অফিসার কাহারোল। মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কাহারোল। বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব কাহারোল উপজেলা শাখা এবং সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ল্ডভিশন দিনাজপুরে প্রেরন করেন।
অভিযোগের পাচ মাস অতিবাহিত হলেও এখনো সুরাহা মিলেনী কিংবা বিষয়টিতে হোতাশ প্রকাশ করেছেন দুই অভিযোগ কারী নারী।

এ বিষয়ে আমাদের প্রতিনিধি সরেজমিনে অভিযোগের ক্ষেত্রে অনুসন্ধানীতে সুপার ভাইজার সুমনের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। সুমন ২০২০ সালে এক দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থীকে প্রেমের ফাদে ফেলে ফুসলিয়ে উধাও হোওয়ার সময় জনসাধারণের নিকট ধৃত করে স্থানীয় চেয়ারম্যান এর হাতে সপথ করেন পরে উত্তম মধ্যমদিয়ে মেয়েকে তার অভিভাবকের হাতে তুলে দেন। মেয়ের অভিভাবক ভবিশ্বতের কোথা চিন্তা করে মেয়ে সুমনের ভয়ে বাল্যবিয়ে দেয়।

অভিযোগের ক্ষেত্রে সুমন স্বাক্ষরিত দুই সাবেক কর্মির পরিবারকে অক্ষত্য ভাষায় গালাগালী ও চাকুরীচুত্বের হুমকির সত্যতা মিলেছে। শুধু তাই নয় দুই জন অভিযোগ করায় সুমন তাদের বিষয়ে যেখানে সেখানে বলে যে ওরা যতই অভিযোগ করুক না কেন আমার কিছুই করতে পারবে না।

তার কোথায় কোর্ড করতে গীয়ে প্রতিনিধির তদন্তে আমাদের প্রতিনিধি এপি ম্যানেজার কুহু-হাগিদক কে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন অভিযোগ যেহেতু কোইকা প্রজেক্টের তাই ঐ প্রজেক্ট আলাদা ম্যানেজার দেখেন পরে কোইকা প্রজেক্টের ম্যানেজার জগতম্ময় বিশ্বাসের নিকট মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য না করে এরিয়ে যায় আবার পরবর্তিতে আর কোন ফোন কিংবা সরাসরি সাক্ষাতের অনিচ্ছুকতা প্রকাশ করেন।

সুমনের শক্তি প্রোগ্রাম অফিসার নমিতা সরকার এতে করে আমাদের প্রতিনিধির চোখে সন্দেহের কারন হয়ে দারালে বিষয়টি আরো জোরালো ভাবে ধারনা করা যাচ্ছে যে অবশ্বই নমিতা সরকারের সাথে সুমনের গভীর কোন সম্পর্ক আছে বলে ধারনা করা যায়।

কারন সুমন যা বলে নমিতা সরকার তাই শুনে নাম না প্রকাশ অনেক চলমান চাকরীরত কর্মি এ সত্যতা বলেছে। অন্যদিকে চাকরীরত এক কর্মী সুমনের অমানুষিক নির্যাতন ও অশালিন আচরনে ক্ষিপ্ত হয়ে নিজেই ২০২১ সালে চাকুরী হতে অব্যাহতি নিতে বাধ্য হয়েছে বলে এক কর্মী শ্বিকার করেছে।
এসব অভিযোগ নমিতা সরকারকে মৌখিক ভাবে বল্লেও তা কোন পদক্ষেপ নেয়নী বলে অভিযোগ কারীগন বলেন তাহলে সুমনের ভিত্তি কোম যায়গায় এত অভিযোগ হোওয়ার পরেও কোন পদক্ষেপ না থাকায় জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।তাহলে যে সংস্থা বাল্যবিবাহ-শিশু নির্যাতন -স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ে সচেতন করে সেই সংস্থার কর্মীর দ্বারা নির্যাতন হচ্ছে আরেক কর্মী এটা কতোটা সমিচিত।

এভাবে দুই একজন কর্মীর জন্য সুনাধন্য প্রতিষ্টানের সুনাম নষ্ট হোক এটা কারো প্রত্যাশা হতে পারে না। অভিযোগ কারীগনকে পৃথক ভাবে মানষিক ভাবে কু প্রস্তাব দেওয়ায় তারা মনে করছেন সুমনের চাকুরী হতে অপরানের দাবি করছে। এই দুই কর্মীর বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে তাদের শাস্তি দাবী করছে অভিযোগকারী গন।

এ বিষয়ে কাহারোল উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোছাঃ আফসানা মোস্তারি এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন অভিযোগ কারীর অনুলিপি আমি পেয়েছি কিন্তু ওয়ার্ল্ডভিশনের কোন কর্মকর্তা আমাকে তদন্ত প্রতিবেন কিংবা এবিষয়ে কিছু জানান নি।

স্থানিয় সতেতন মহল মনে করছে ওয়ার্ল্ড ভিশন একটি সুনাম ধন্য প্রতিষ্ঠান প্রতিটি কাজে তাদের সচ্ছতা রয়েছে তারা অভিযোগ এর জন্য জবাব দিহিতার জন্য অভিযোগ বক্স রেখেছে অথচ লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরেও কোন সুরাহা না করায় প্রশ্ন জাগে অবশ্বই ম্যানেজ ম্যান্ট যিনি করছে তার ব্যাক্তিগত অবহেলা রয়েছে তা না হলে পাচ মাসেও কেন তদন্ত করে সুরাহা মিললো না।

একজন ব্যাক্তি কর্মকর্তার অবহেলার কারনে একটি সুনাম ধন্য প্রতিষ্ঠানের সুনাম খুন্ন হোক এটা আমরা আশা করিনা।
এই অভিযোগ কারীরদের অন্যায়ভাবে চাকুরী চুত্ব করায় দুঃখ জনক বটে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button