রুশ আগ্রাসনে দেড় শতাধিক শিশু নিহত, দাবি ইউক্রেনের
দীর্ঘ সময় থেকে ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ চলছে।যুদ্ধ বন্ধে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চললেও এখনও কোনো ফল মেলেনি। ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ অভিযান শুরুর পড় থেকে এখন পর্যন্ত পাঁচ সপ্তাহে ইউক্রেনে ১৫৩ শিশু প্রাণ হারিয়েছে। ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেলের কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রাশিয়ার সেনাদের হামলায় নিহত শিশুদের মধ্যে বেশির ভাগই রাজধানী কিয়েভের। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কিয়েভে ৭৩ শিশু, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ডোনেস্ক-এ ৬৫ এবং ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভে ৪৬ শিশুর প্রাণ গেছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে কারণ চেরনেহিভ এবং মারিউপোল রুশ বাহিনী অবরুদ্ধ করে রাখায়, অনেক নিহতের হিসাব নেই। রুশ হামলা অব্যাহত থাকায় ইউক্রেনে হতাহতের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা (ইউনিসেফ) জানিয়েছে, যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের বহু শিশু দেশ ছেড়ে গেছে। দেশটির প্রায় ৪০ লাখ মানুষ ইউক্রেন ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। সংঘাত না থামলে শরণার্থীর সংখ্যা আরও বাড়বে। ইতোমধ্যে পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিচ্ছেন ইউক্রেনীয়রা।
উল্লেখ্য, পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য ২০০৮ সাল থেকে আবেদন করে ইউক্রেন। মূলত, এ নিয়েই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। তবে সম্প্রতি ন্যাটো ইউক্রেনকে পূর্ণ সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় দ্বন্দ্বের তীব্রতা আরও বাড়ে। ন্যাটোর সদস্যপদের আবেদন প্রত্যাহারে চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো। কিন্তু এই কৌশল কোনো কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। ঠিক তার দুদিন পর ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে। সুত্রঃ আল- জাজিরা, গার্ডিয়ান। সুত্রঃ সিএনএন