দেশের করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় অর্ধেক জনবল নিয়ে চলবে অফিস
দেশের করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশ কিছু বিষয়ে বিধিনিষেধ আরোপ করতে চলেছে সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় অফিস-আদালত অর্ধেক জনবল নিয়ে চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) বেলা ১১ টার দিকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এ কথা জানান।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘প্রতিদিন আক্রান্তের হার বেড়ে যাচ্ছে। ১১ দফা দেবার পরেও সাধারণ মানুষ তা মানছে না। এভাবে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকলে হাসপাতালের বেড খালি থাকবে না। স্কুলে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আগামী ২ সপ্তাহ স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি বন্ধ থাকবে।
তিনি আরও বলেন, ‘টিকা সনদ সাথে থাকতে হবে। জেলা প্রাশাসক ও পুলিশের প্রতি ১১ দফা বাস্তবায়নে কঠোর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি। সংক্রমণের হার কমাতে গেলে সবাইকে নিজ জায়গা থেকে বিধিনিষেধ মানতে হবে। বইমেলা, স্টেডিয়াম কিংবা পর্যটন এলাকায় গেলে অবশ্যই সঙ্গে করে টিকা কার্ড নিয়ে যেতে হবে।
এদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায় ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এই নির্দেশনা ২১ জানুয়ারি থেকেই কার্যকর হবে। এ ছাড়া আরও চারটি নির্দেশনা জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এতে আর বলা হয়েছে, স্কুল কলেজের মতো এই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও নিজ নিজ ক্ষেত্রে অনুরূপ ব্যবস্থাগ্রহণ করবে। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় সমাবেশ বা অনুষ্ঠানসমূহে এক শ জনের বেশি জনসমাগম করা যাবে না। এসব ক্ষেত্রে যারা যোগদান করবেন তাদের অবশ্যই করোনা প্রতিরোধী টিকা সার্টিফিকেট বা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরটি পিসিআর টেস্টের ফল সাথে আনতে হবে।
সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিল্প কলকারখানাগুলোতে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আবশ্যিকভাবে করোনা টিকার সার্টিফিকেট গ্রহণ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে দায়িত্ববহন করতে বলা হয়েছে। বাজার, মসজিদ, বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশনসহ সবধরণের জনসমাবেশে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়টি মনিটর করতে বলা হয়েছে।