ওমিক্রন যাতে দেশে সংক্রমণ ছড়াতে না পারে সরকারকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ রাষ্ট্রপতির
ফাইল ছবি
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন যাতে আমাদের দেশে সংক্রমণ ছড়াতে না পারে সেজন্য সরকারকে সতর্কতা অবলম্বনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ’ রোববার (১৬ জানুয়ারি) একাদশ জাতীয় সংসদের ২০২২ সালের প্রথম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে এ পরামর্শ দেন রাষ্ট্রপতি। করোনা মহামারি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে আবদুল হামিদ বলেন, ‘সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে পৃথিবীর অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ এবং সংক্রমণজনিত মৃত্যুর হার অপেক্ষাকৃত কম। প্রধানমন্ত্রীর সাহসী, দূরদর্শী নেতৃত্ব ও অনুপ্রেরণায় আমরা এখন পর্যন্ত করোনা এবং এর অভিঘাত সফলভাবে মোকাবিলা করে যাচ্ছি। ’
করোনা মহামারি মোকাবিলায় সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ রোধে বিভিন্ন প্রকার বিধিনিষেধ আরোপ ও প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি ১৫৬টি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। এছাড়া করোনা পরীক্ষার জন্য ১৫১টি আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়। স্বাস্থ্যসেবা খাতে গত অর্থবছরের তুলনায় বাজেট বৃদ্ধি করা হয়েছে ১৩ শতাংশ। ’ শিগগির দেশের অধিকাংশ জনগণ টিকার আওতায় আসবে আশা প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ইতোমধ্যে প্রায় ৭ কোটির অধিক জনগণকে টিকা দেয়া হয়েছে। শীঘ্রই দেশের অধিকাংশ জনগণকে টিকার আওতায় আনা হবে ইনশাআল্লাহ্। ’
তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারি করোনা সংক্রমণের কারণে বিগত দুই বছর জনসাধারণের জীবন-জীবিকা হুমকির সম্মুখীন হয়। এ সময়ে জীবন রক্ষার পাশাপাশি আর্থসামাজিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাই ছিল সরকারের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। ’সময় সাশ্রয়ের জন্য মূল ভাষণের পরিবর্তে সংক্ষিপ্ত আকারে সংসদে পাঠ করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। প্রায় ৪ হাজার ৭০০ শব্দের সংক্ষিপ্ত ভাষণে কয়েকটি বিষয়ে দিক নির্দেশনার পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতির ভাষণের সময় জাতীয় সংসদে উপস্থিত ছিলেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা। এ সময় সংসদ পরিচালনা করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।