মিশা-জায়েদের বিরুদ্ধে জিডি: মুখ খুললেন মিশা
ছবি ইন্টারনেট
বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানসহ কার্যকরী কমিটির বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। ২৪০ জন শিল্পীর পক্ষে মকবুল হোসেন আরমান নামে একজন তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় এই জিডি করেছেন (নম্বর ৩৮৮)। এ বিষয়ে জানতে বিডি২৪লাইভ থেকে যোগাযাগ করা হয় শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগরের সাথে। তিনি দীর্ঘ ফোনালাপে বলেন, আমি এবং সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানসহ কার্যকরী কমিটির বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়েছি তা শুনেছি। এই বিষয়ে আপাতত কোন মন্তব্য আমি করতে চাচ্ছি না। আমি শুধু এই টুকু বলবো, যিনি অভিযোগটি করেছেন তিনি থানায় না গিয়ে শিল্পী সমিতিকে জানাতে পারতো। তিনি তা কেন করেন নি? তাহলে কি সেটা কোন উদ্দেশ্য মূলক?
আলাপকালে মিশা বলেন, কেউ চাঁদা দিলে সমিতি কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত লোক আছেন, তার থেকে রশিদ বুঝে নিবেন। এখানে থানায় অভিযোগ করার কোন কারন আছে বলে আমি মনে করছি না। আর তিনি যে ডায়েরি করেছেন সেটার কোন কপিও আমি হাতে পাই নি এখনও। তাই সব কিছু না বুঝে কোন ধরনের নেগেটিভ মন্তব্য করতে পারবো না। আমি শুধু এতটুকু বলতে পারি, কারো যদি কোন অভিযোগ থাকে, তা সরাসরি সমিতি বরাবর দেয়া উচিত।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৪০ জন সদস্য শিল্পী সমিতির বার্ষিক চাঁদা হিসেবে জনপ্রতি ২ হাজার ৪০০ টাকা করে সমিতি কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত জাকির ও জামালের কাছে জমা দিয়েছেন। চাঁদার রশিদ সঙ্গে সঙ্গে দেওয়ার কথা থাকলেও দীর্ঘ ১৫ দিন ধরেই দিচ্ছি দিচ্ছি বলে দিচ্ছে না। জাকির ও জামালের কাছে গেলে তারা জানায়, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সই করছেন না, শনিবার সদস্যদের চাঁদা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল। কিন্তু এইদিন অবধি তারা চাঁদা জমার রশিদ পাননি। অথচ মিশা-জায়েদ খান প্যানেলের সব সদস্যদের চাঁদার রশিদ দেওয়া হয়েছে৷ প্যানেলের সদস্যরা নিজেদের প্যানেলের স্বার্থেই এই পন্থা অবলম্বন করেছে। তাই ভবিষ্যতের জন্য ডায়েরি করা প্রয়োজন।
আগামী ২৮ জানুয়ারি ২০২২-২০২৩ মেয়াদে শিল্পী সমিতির নির্বাচন। সেখানে বর্তমান কমিটির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান একটি প্যানেলে নির্বাচন করবেন। আরেকটি প্যানেলে নেতৃত্ব দেবেন ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণ।