টাঙ্গাইলের মধুপুরে বর্নাঢ্য আয়োজনে ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত
আঃ হামিদ, মধুপুর প্রতিনিধি-(টাঙ্গাইল)
টাঙ্গাইলের মধুপুরে বর্নাঢ্য আয়োজনে ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত
টাঙ্গাইলের মধুপুরে বর্নাঢ্য আয়োজনে নানা কর্মসুচির মধ্য দিয়ে উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন শিক্ষা, শান্তি প্রগতির ধারক ও বাহক বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
কর্মসুচির মধ্যে ছিল বর্ণাঢ্য র্যালি নিয়ে শহর প্রদক্ষিণ, প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কেক কাটা, আলোচনাসভা এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারী) প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ব্যান্ড বাজিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
উক্ত শোভাযাত্রায় মধুপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছরোয়ার আলম খান আবু, সভাপতি খন্দকার শফি উদ্দিন মনিসহ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নবীন প্রবীন নেতা কর্মীগন অংশগ্রহন করেন। শোভাযাত্রাটি মধুপুর সরকারী কলেজ থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
পরে মধুপুর সরকারী কলেজ হলরুমে আলোচনা সভায় মধুপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মশিউর রহমান খান মিথুনের সভাপতিত্বে মধুপুর সরকারী কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আক্তার এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মধুপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছরোয়ার আলম খান আবু, সভাপতি ও টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান খন্দকার শফি উদ্দিন মনি, সহ-সভাপতি এডভোকেট ইয়াকুব আলী, বাপ্পু সিদ্দিকী, মধুপুর পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিক হোসেন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল আজিজ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ সজিব, সাবেক সহ-সভাপতি শেখ ফরিদ, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বাবলু, মাজেদুল ইসলাম মালেক, বাবলু মিয়া প্রমুখ।
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কর্মসূচীতে ছাত্রলীগের বিভিন্ন শাখার নেতা কর্মীরা অংশ গ্রহন করেন।
উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে ১৯৪৮ সালের এই দিনে (৪ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। প্রতিষ্ঠার পর ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬২-র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৯-র গণ-অভ্যুত্থান, ৭১-র মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৯০-র স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ দেশের প্রায় প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতির পতাকাবাহী এ সংগঠনের ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয় এবং গৌরবোজ্জ্বল।
আলোচনা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বাষির্কীর সমাপনী ঘটে।