ইউপি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় নিহত ৩
চতুর্থ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় সিলেট, ঠাকুরগাঁও ও পটুয়াখালীতে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গাইবান্ধায় নব নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যানকে কুপিয়েছে প্রতিপক্ষ। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
চতুর্থ ধাপে ৮৩৮টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বেশিরভাগ স্থানেই দিনভর সুষ্ঠু ভোট হলেও ফলাফল ঘোষণার পর দেশের বিভিন্ন জেলায় সহিংসতা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁওয়ে সদর উপজেলার রাজাগাঁও ইউনিয়নে ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্রে করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশের গুলিতে একজনের মৃত্যু হয়। একই উপজেলার আখানগর ইউনিয়নে ব্যালট বক্স ছিনতাই চেষ্টার অভিযোগে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও তার মেয়েকে আটক করে পুলিশ। সেসময় বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়।
সিলেটের গোলাপগঞ্জের ফুলবাড়ি ইউনিয়নে দুটি ভোটকেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সাথে গ্রামবাসীর সংঘর্ষ হয়। এতে আব্দুস সালাম নামে এক রিকশা মেকানিকের মৃত্যু হয়।
পটুয়াখালীর চরমোন্তাজে ফলাফল ঘোষণায় গরমিল নিয়ে কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের চেষ্টা হলে আইনশৃংখলা বাহিনীর গুলিতে ১ জন নিহত হয়। আহত হয়েছে অন্তত ৫০ জন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে।
চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে মাট ২৯৫ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৪৮ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য ১১২ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ১৩৫ জন নির্বাচিত হয়েছেন।