বিদ্যুৎ-গ্যাস-সারের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে
আগামী বছরে ৬ লাখ ৭৫ হাজার ১৩৯ কোটি টাকার বিশাল বাজেট প্রাক্কন করা হচ্ছে। জাতীয় বাজস্ব বোর্ডকে যে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে, সেখানে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি আছে ১৩ হাজার ৯৯ কোটি টাকা। আর ভর্তুকি ব্যয় কমাতে আবারও জ্বালানি তেলের পর এবার বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার (২২ ডিসেম্বর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ‘আর্থিক মুদ্রা ও মুদ্রা বিনিময় হার সংক্রান্ত কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের’ সভায় অর্থ বিভাগের পক্ষ থেকে বাজেটের রূপরেখার এই প্রস্তাব করা হয়। এর পরে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ‘বাজেট মনিটরিং ও সম্পদ কমিটি’র বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অর্থনীতির সার্বিক সূচক নিয়ে আলোচনা করেন। পরে বাজেট ভর্তুকি ব্যয় কমাতে জ্বালানি তেলের পর এবার বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
আগামী মাসেই বাড়তে পারে এই তিন পণ্যের দাম। অর্থ বিভাগ থেকে দাম সমন্বয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে বৈঠক সূত্র জানায়। যুক্তি হিসেবে বলা হয়, এই তিন পণ্যের দাম না বাড়ালে ভর্তুকি ব্যয় বাজেটে প্রক্ষেপণের চেয়ে ২০ হাজার কোটি টাকা বাড়তে পারে।
এর আগে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অর্থনীতির বিদ্যমান পরিস্থিতি মূল্যায়ন করব। এবার রাজস্ব আদায় কত হলো, তা-ও দেখতে হবে। আমাদের সক্ষমতা বিবেচনায় নিতে হবে। সামাজিক নিরাপত্তার মতো কর্মসূচিও আমরা দেখব। এগুলো বিবেচনায় নিয়ে আগামী অর্থবছরের বাজেট তৈরি করা হবে। ’