যশোরে ফেসবুকে পরিচয়ে প্রেমের সম্পর্কে প্রবাসীর স্ত্রী অপহরণের ঘটনায় গ্রেফতার-৩
এসএম স্বপন, বেনাপোল প্রতিনিধি-(যশোর)
যশোরে ফেসবুকে পরিচয়ে প্রেমের সম্পর্কে প্রবাসীর স্ত্রী অপহরণের ঘটনায় গ্রেফতার-৩
যশোরে ফেসবুকে পরিচয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে দুই সন্তানের জননী রিমা খাতুন (২৪) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রী অপহরণের শিকার হয়েছে।
আর এ ঘটনায় ৩ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) ভোরে তাকে উদ্ধার করে যশোর ডিবি পুলিশের একটি চৌকস টিম।
রিমা যশোর মনিরামপুর থানাধীন মহাদেবপুর এলাকার প্রবাসী হাফিজুর রহমান গাজীর স্ত্রী। তাদের এক মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, বগুড়া জেলার ধনুট থানাধীন ধামাচামা গ্রামের শাহ আলমের ছেলে জুয়েল আহম্মেদ এবং তার দুই সহযোগী আলমগীর হোসেন ও মামুন-উর-রশিদ।
সূত্রে জানা যায়, ফেসবুকের মাধ্যমে রিমা খাতুনের পরিচয় হয় মালয়েশিয়া প্রবাসী সোহেল রানার সাথে। সোহেল রানা বগুড়া জেলার ধনুট থানাধীন ধামাচামা গ্রামের শাহ আলমের ছেলে। সোহেল দীর্ঘ দিন ধরে মালয়েশিয়া থাকে।
গত ০১-০৬-২০২০ রিমা খাতুন নিখোঁজ হয়। পরে রিমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন মনিরামপুর থানায় গত ১০-০৬-২০২০ একটি নিখোঁজ জিডি করেন। যার জিডি নং-৩৬৬।
পরে, রিমার পরিবার জানতে পারেন রিমাকে প্রবাসী সোহেল রানার নির্দেশে তার আপন ছোট ভাই জুয়েল আহম্মেদ ও তার কয়েক জন সহযোগি মিলে মাইক্রোবাসে এসে যশোর মনিরামপুর থানাধীন মহাদেবপুর থেকে রিমাকে নগদ ৩৬,০০,০০০/- (ছত্রিশ লক্ষ) টাকা ও ১২ ভরি স্বর্ণালংকারসহ অপহরণ করে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে আটক করে রেখেছে।
পরবর্তীতে নিখোঁজের পরিবার মনিরামপুর থানায় গত ১৬-০৬-২০২০ তারিখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১১।
যশোর জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন পিপিএম জানান, মামলাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় মামলাটির তদন্তভার ডিবি পুলিশকে দেওয়া হয়। এসময় মামলাটির তদন্তভার পুলিশ পরিদর্শক সোমেন দাশ গ্রহণ করেন। পরে তিনি তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার করে আসামী এবং ভিকটিমের অবস্থান সনাক্ত করেন।
বৃহস্পতিবার ২৫ জুন ভোর সাড়ে ৫ টার সময় জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মারুফ আহম্মদের সার্বিক তত্বাবধায়নে পুলিশ পরিদর্শক সোমেন দাশের নেতৃত্বে ডিবি’র একটি চৌকস টিম বগুড়া জেলার ধনুট থানাধীন ধামাচামা নামক স্থানে অভিযান চালিয়ে অপহৃত ভিকটিম রিমাকে উদ্ধার করে। এবং সেখান থেকে আসামী জুয়েল আহম্মেদ, আলমগীর হোসেন ও মামুন উর-রশিদকে গ্রেফতার করে। এবং নগদ অর্থ ১৬,০০,০০০/- (ষোল লক্ষ) টাকা ও ২ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করে।
প্রাথমিক তদন্তে ফেসবুকে পরিচয় হয়ে ভিকটিম রিমার ছবি নিয়ে বিকৃত করে তার প্রবাসী স্বামী হাফিজুর ও তার পরিবারের লোকজনের নিকট প্রকাশের ভয়ভীতি দেখিয়ে গত ১মে ৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।
পরে সোহেলের ভাই জুয়েল এবং অন্যান্য সহযোগীদের মাধ্যমে রিমাকে ৩৬ লক্ষ টাকা ও স্বর্ণালংকার সহ অপহরণ করে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে আটক রাখে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।