বিনোদন

খোরপোশ বাবদ প্রতিমাসে ৮ লাখ টাকা দাবি শ্রাবন্তীর

স্বামী রোশান সিংয়ের সঙ্গে এক বছর ধরে আলাদা থাকছেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি। স্ত্রীর সঙ্গে পুনরায় সংসার করার জন্য মামলা করেছেন রোশান। কিন্তু তাতে সায় না দিয়ে বিয়েবিচ্ছেদ চেয়ে আদালতে মামলা করেছেন শ্রাবন্তী। শুধু তাই নয়, খোরপোশ বাবাদ অর্থও দাবি করেছেন এ অভিনেত্রী।

ক্রিমিনাল প্রোসিডিউর কোডের ১২৫ ধারা অনুযায়ী রোশানের কাছে ভরণপোষণের জন্য অর্থ চেয়েছেন শ্রাবন্তী। কিন্তু রোশানকে খোরপোশ বাবদ কত টাকা দিতে হবে এ নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই শ্রাবন্তী ভক্তদের। অবশেষে জানা গেল মোটা অঙ্কের খোরপোশ দাবি করেছেন শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি।

রোশান সিংয়ের আইনজীবী শ্যামল মণ্ডল ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে বলেন—‘শ্রাবন্তীর পক্ষ থেকে খোরপোশের মামলা দায়ের করা হয়েছে। যেখানে রোশানের কাছে প্রতি মাসে ৭ লাখ রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ লাখ ৯৮ হাজার ১৪৯ টাকা) দাবি করেছেন শ্রাবন্তী। আগামী ১৫ ডিসেম্বর এই মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।’

তবে গত ১০ অক্টোবর ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে শ্রাবন্তীর স্বামী রোশান দাবি করেন—খোরপোশের কোনো কাগজ হাতে পাননি তিনি। রোশান বলেন—‘খোরপোশের মামলার কোনো কাগজপত্র আমার কাছে এসে পৌঁছায়নি। তাই এ বিষয়ে আমি এখনি কিছু বলতে চাই না। যা বলার আমার আইনজীবী বলবেন।’

এর আগে রোশানকে চোর অপবাদ দিয়েছেন শ্রাবন্তী। তা জানিয়ে রোশান বলেন, ‘আমি চোর অপবাদও পেয়েছি। আমি নাকি শ্রাবন্তীর এক কোটি রুপি নিয়ে চলে এসেছি! আমার প্রাক্তন বান্ধবীকে ফোন করে আমার বিষয়ে নানা রকম কথাবার্তা বলা হচ্ছে। ওদের রাজনৈতিক ক্ষমতা বেশি। ওরা চাইলে আমার সঙ্গে নাকি যা খুশি করতে পারে। আমার পরিবারকেও টেনে এনে অসম্মান করা হচ্ছে।’

আলিপুর আদালতে মামলা দায়ের করেছেন শ্রাবন্তী। এর আগে শিয়ালদহ ফাস্টট্র্যাক ফাস্ট কোর্টে মামলা দায়ের করেন শ্রাবন্তীর তৃতীয় স্বামী রোশান। পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী গত ১৪ জুলাই, দুজনেরই আদালতে হাজির হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রোশান উপস্থিত হলেও যাননি শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি।

রোশান তার মামলায় জানিয়েছেন, গত ১২ এপ্রিল ই-মেইল ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে শ্রাবন্তীকে পুনরায় সংসার শুরুর অনুরোধ করেন তিনি। কিন্তু ২৬ এপ্রিল এর উত্তরে শ্রাবন্তী জানান, তিনি সংসার শুরু করতে রাজি নন। এরপর ৭ জুন, শিয়ালদহের ফাস্টট্র্যাক আদালতে মামলা দায়ের করেন রোশান। তার দাবি, শ্রাবন্তীর সঙ্গে তার কোনো তিক্ততা নেই। তাই তিনি পুনরায় সংসার শুরু করতে চান।

জানা গেছে, হিন্দু বিবাহ আইনের ৯ নম্বর ধারায় ‘রেস্টিটিউশন অব কনজুগাল রাইটস’র কথা বলা আছে। সেই অধিকার থেকেই আদালতে মামলা দায়ের করেন শ্রাবন্তীর স্বামী। এই ধারা অনুযায়ী— স্বামী বা স্ত্রী কেউ যদি কোনো যুক্তিযুক্ত কারণ না দেখিয়ে একসঙ্গে না থাকেন, তবে অপরজন এই ধারায় মামলা করতে পারেন। পরবর্তী সময়ে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে যথাযথ কারণ দেখাতে হয়।

২০১৯ সালে রোশানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন শ্রাবন্তী।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button