আন্তর্জাতিক

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন দুতার্তের মেয়ে

ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদরিগো দুতার্তের কন্যা সারা দুতার্তে-কার্পিও আগামী বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

দুতার্তের দীর্ঘ দিনের সহযোগী ক্রিস্তোফার ‘বং’ গো, যিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছেন, কার্পিওর রানিং মেট হতে পারেন।

সারা কার্পিও এখন ফিলিপাইনের তৃতীয় বৃহত্তম শহর দাভাও এর মেয়র। মেয়র হিসেবে পুনর্র্নিবাচনের জন্য শনিবার তিনি মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। আগামী বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হচ্ছেন না বলে এর আগে জানিয়েছিলেন।

কিন্তু তার বাবা প্রেসিডেন্ট দুতার্তে রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহযোগী সেনেটর ‘বং’ গোকে পাশে নিয়ে ওই ঘোষণা দেন তিনি। তার আগে ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন ‘বং’ গো।

দুতার্তে রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর পরই একজন ব্রডকাস্ট জার্নালিস্টকে সাক্ষাৎকার দেন, এ সাক্ষাৎকারের ওপর ভিত্তি করেই সারা কার্পিও প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হচ্ছেন বলে খবর দেয় এবিএস-সিবিএন।

শনিবার দুতার্তে জানিয়েছেন, তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিচ্ছেন। কন্যা সারা কার্পিওর জন্য রাজনৈতিক পথ পরিষ্কার করতেই সবাইকে বিস্মিত করে তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ফিলিপাইনের সংবিধান অনুযায়ী, একজন প্রেসিডেন্ট শুধু ছয় বছরের এক মেয়াদের জন্যই ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। তাই ২০১৬ সালে দেশটির প্রেসিডেন্ট হওয়া দুতার্তে আগামী নির্বাচনে আর প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারছেন না।

এ পরিস্থিতিতে তিনি ২০২২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হবেন বলে গত মাসে জানিয়েছিলেন দুতার্তে (৭৬) । কিন্তু এটি সংবিধানের চেতনা লংঘন করে মর্মে অধিকাংশ ফিলিপিনো এর বিরোধিতা করেন। এই প্রতিক্রিয়া আমলে নিয়েই তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিচ্ছেন বলে দুতার্তে জানিয়েছেন।

তার বাবা রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার কিছুক্ষণ পর দাভাওয়ের মেয়র হিসেবে পুনর্র্নিবাচিত হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেন কার্পিও। কিন্তু এখনও তার নজর প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার দিকে, এ ধরনের জল্পনায় জল ঢেলে দেওয়ার মতো কোনো কিছু করেননি তিনি।

জনমত জরিপে সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের মধ্যে শীর্ষে আছেন কার্পিও। গত মাসে তিনি জানিয়েছিলেন, বাবার সঙ্গে তার সমঝোতা হয়েছে যে ২০২২ সালে জাতীয় দপ্তরের প্রার্থী হিসেবে তাদের মধ্যে যে কোনো একজন দাঁড়াবেন, তাই আগামী বছরের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে দাঁড়াচ্ছেন না তিনি।

কিন্তু এখন দুতার্তে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়ে যোগ দেবেন না বলে ঘোষণা দেওয়ায় কার্পিওর পথ পরিষ্কার হয়ে গেল।

প্রার্থীরা শুক্রবার পর্যন্ত মনোনয়ন দাখিল করতে পারবেন, কিন্তু ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীতা প্রত্যাহার ও প্রার্থী পরিবর্তনের সুযোগ থাকবে। এতে শেষ মুহূর্তে মন পরিবর্তনের সুযোগ থাকছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button