বগুড়ায় যুবলীগ নেতা তালেব হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ২
তানভীর ইসলাম রাজু, বগুড়া প্রতিনিধি-ঃ
বগুড়ায় যুবলীগ নেতা তালেব হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ২
বগুড়ার সাবগ্রামে যুবলীগ নেতা হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকুসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ গোয়েন্দা পুলিশ। গত ১৪ জুন রোববার দুপুর দেড়টার দিকে সাবগ্রাম বন্দর যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আবু তালেব (৩৫) কে শহরের আকাশতারা জুট মিলের সামনে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে দূর্বৃত্তরা।
ঘটনার পরপরই পুলিশ সুপার মোঃ আলী আশরাফ ভূঞা বিপিএম বার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনার পরদিন নিহত তালেবের স্ত্রী বাদি হয়ে বগুড়া সদর থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টায় বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী মুঠোফোনে জানান, পুলিশ সুপার মোঃ আলী আশরাফ ভূঞার নির্দেশনায় খুনিদের ধরতে বেশ কয়েকটি টিম মাঠে নামে। জেলা গোয়েন্দা শাখার ইন্সপেক্টরএমরান মাহমুদ তুহিনের নেতৃত্বের টিম শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরের বারপুর এলাকা থেকে রক্তমাখা পোশাক পড়া অবস্থায় তালেব হত্যা মামলার আসামি চাঁন মিয়া(২১) ও বাপ্পারাজ ওরফে বাপ্পাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত চাঁন মিয়া বগুড়া সদরের আকাশতারা মধ্যপাড়ার পিতা আফসার প্রামানিকের পুত্র এবং বাপ্পারাজ ওরফে বাপ্পা একই এলাকার কাইয়ুম প্রামানিকের পুত্র। ঘটনার পর থেকে পালিয়ে বেড়ানোর কারনে তারা পোশাক পরিবর্তন করতে পারেনি বলে গ্রেফতারকৃতরা জানিয়েছে।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলে তাদের নিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধারে যাওয়া হয়। বগুড়া-গাবতলী রোড সংলগ্ন আকাশ তারা এলাকায় (এশিয়ান পেইন্ট এর গুদামের সাথে) ইউক্যালিপটাস বাগানের ভিতর থেকে আসামিদের দেখানো মতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু উপস্থিত জনগণের সামনে জব্দ করা হয়। মামলার আসামি তিনজনই একসাথে চলাফেরা করত। তারা প্রায় সবসময় বার্মিজ চাকু বহন করে থাকে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সুত্রে জানা যায়, মামলার প্রধান আসামি ফিরোজ @ ফোকরার সাথে খুন হওয়া তালেবের পূর্বে ভাল সম্পর্ক থাকলেও সম্প্রতি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। চাঁন এবং বাপ্পার সাথেও তালেবের সম্পর্ক ভাল ছিল না।
১৪ জুন রোববার ঘটনার দিন এই তিনজনের সাথে ঘটনাস্থলের পাশেই পানের দোকানের সামনে কথা কাটাকাটি হয় তালেবের। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চাঁন চাকু বের করে তালেবের বুকে আঘাত করলে সে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে পিছন থেকে তিনজনই এলোপাথারি ছুরিকাঘাত করলে সে মাটিতে পড়ে যায়। এ সময় ফিরোজের চাকুর আঘাতে তালেবের শ্বাসনালী প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।তাদের নিজেদের এলোপাথারি কোপে চাঁনের ডান হাতের কনে আংগুল এবং ফিরোজের ডান কনুই কেটে যায়।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী আরও জানান, ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামি ফিরোজ ওরফে ফোকরাকে গ্রেফতারে অভিযান চলমান আছে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের আজ শনিবার আদালতে প্রেরণ করা হবে।