সোনাতলায় পারিবারিক কলহের জেরে হামলা ও মারধরে ৩ জন আহত- থানায় অভিযোগ
বগুড়ার সোনাতলায় পারিবারিক কলহের জের ধরে হামলা ও মারধরে ৩ জন আহত হয়েছে। এঘটনায় শরিফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বাদি হয়ে ৪ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আহতরা হলো, শরিফুল ইসলাম, তার মা ও পিতা মোঃ মন্টু বেপারী। অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, উপজেলার বালুয়া ইউনিয়নের দক্ষিন আটকরিয়া গ্রামের মোঃ মন্টু বেপারির ছেলে শরিফুল ইসলামের সাথে একই এলাকার মোঃ জিকু সরকারের মেয়ে জুলি’র দির্ঘ ৪ বছর পুর্বে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়। এরপর শরিফুল তার নিজ বাড়ি সংলগ্ন মুদি দোকান সহ কম্পিউটার ও ফ্লেক্সিলোডের দিয়ে জিবিকা নির্বাহ করে আসে।
সংসারে তাদের ৬ মাসের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। পারিবারিক কলহের কারনে স্ত্রী জুলি বেগম তার সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়ীতে চলে যায়। পরবর্তিতে শরিফুল ও তার পরিবারের লোকজন শিশু সন্তানকে দেখতে চাইলে জুলির পরিবারের লোকজন তার সন্তানকে দেখতে দেয়না এবং শরিফুল ও তার পরিবারের লোকজনকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে।
এদিকে ৩১’শে আগষ্ট মঙ্গলবার শরিফুল ইসলাম দোকানের কাজে ব্যাস্ত থাকায় তার পিতা মাতা শিশু বাচ্চাকে দেখার জন্য বাড়িতে নিয়ে আসলে তার স্ত্রী ও শ্বশুর সহ শ্বাশুরী রুবভান বিবি ও চাচা শ্বশুর জুয়েল সরকার দয়াল ক্ষিপ্তহয়ে হাতে লাঠি-সোঠা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে বসতবাড়ি ও দোকানে হামলা চালিয়ে শরিফুল তার পিতা ও মা’কে বেধরক মারধর করে গুরুতর আহত করে। এসময় ব্যবসার কম্পিউটার সহ দোকানে জিনিসপত্র ভাংচুর করে দোকানে থাকা ৫০,০০০হাজার টাকা নিয়ে যায়।
সেইসাথে ঘরে প্রবেশ করে ট্রাংক ভেঙ্গে গরু বিক্রয়ের ১লক্ষ ৩০হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় এবং তাদেরকে ভয়ভীতিকর হুমকি প্রদর্শন করে বলেও অভিযোগে উল্ল্যেখ করা হয়েছে। এঘটনায় স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয় সোনাতলা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। বর্তমানে তারা চিকিৎস্যাধীন রয়েছে। এবিষয়ে থানার ডিউটি অফিসার এসআই মোঃ আমিনুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।