চলচ্চিত্রে নিয়মিত কাজ করতে চান ফজলুর রহমান বাবু
দর্শকপ্রিয় অভিনেতা ও সংগীতশিল্পী ফজলুর রহমান বাবু। তার শুরুটা ১৯৭৮ সালে মঞ্চ নাটক দিয়ে। এরপর ১৯৯১ সালে টেলিভিশন নাটকে কাজ করেন। বর্তমানে নাটক-চলচ্চিত্রে বিরতিহীনভাবে দাপটের সাথে অভিনয় করছেন তিনি। অভিনয়ের জন্য ছেড়েছেন সম্ভাবনাময় চাকরি জীবন। নিশ্চিত বিলাসী জীবন ছেড়ে অভিনয়কে আপন করে নিয়েছেন। পেয়েছেন দর্শকের অফুরন্ত ভালোবাসা। পেয়েছেন কাজের স্বীকৃতি। এরই মধ্যে অভিনয় দক্ষতা দিয়ে নাটক ও সিনেমায় নিজের একটি অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন ফজলুর রহমান বাবু। আজ এই তারকা অভিনেতার জন্মদিন। ১৯৬০ সালের ২২ আগস্ট ফরিদপুরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
বর্তমানে এই অভিনেতার হাতে রয়েছে ‘জ্যাম’, ‘ঢাকা ড্রিম’, ‘পায়রার চিঠি’সহ বেশ কয়েকটি সিনেমার কাজ। লকডাউনের পর ব্যস্ত হয়েছেন শুটিংয়ে। অভিনয়ের পাশাপাশি গায়ক হিসেবেও বেশ গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছেন অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু। তার গাওয়া গানের ভক্তও নেহাত কম নয়। ‘অল্প না বয়সের সখিনা ছেড়ি’, ‘সোনাই হায় হায় রে’, ‘ইন্দুবালা’সহ বেশ কিছু দর্শকপ্রিয় গান তিনি উপহার দিয়েছেন শ্রোতাদের। মাঝে মধ্যেই তিনি অডিও ও চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দেন।
তিনি টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র দুই মাধ্যমেই কাজ করছেন। কোন মাধ্যমে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্য লাগে জানতে চাইলে উত্তরে দাপুটে এই অভিনেতা নিউজজি’কে বলেন, ‘সব মাধ্যমেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। তবে আমি চার মাধ্যমে কাজ করি। মঞ্চ, রেডি, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র। কাজের চাপের কারণে মঞ্চ নাটকে কাজ করতে পারছি না। কিন্তু প্রতিটি জায়গায় সমান গুরুত্ব দেই। তবে চলচ্চিত্রে এখন একটু বেশি প্রাধান্য দেই। কারণ, চলচ্চিত্রে একটা সময় গৌরব উজ্জল জায়গায় ছিল। তবে সেটি আমরা ধীরে ধীরে নষ্ট করে ফেলছি।’
যোগ করে ফজলুর রহমান বাবু বলেন, ‘কিছু তরুণ চলচ্চিত্রকার, প্রযোজক ও অভিনয়শিল্পী ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। সেই জায়গা থেকে আমি মনে করছি আমাদের চলচ্চিত্রে কাজ করা উচিত। চলচ্চিত্রে নিজেকে আরো ব্যস্ত রাখতে চাই। দীর্ঘদিন থেকে আমরা যে ফরম্যাটের সিনেমা দেখতেছি সেই ফরম্যাট থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তরুণদের সাথে কাজ করতে ভালো লাগে। তরুণদের চিন্তা চেতনাও তরুণ। এ অভিনেতা ও গায়ক মনে করেন একজন পরিপূর্ণ অভিনেতা হবার জন্য চর্চা দরকার। চরিত্রের সাথে অভিনয় ফুটিয়ে তুলে দর্শকদের চরিত্রটি বিশ্বাস করাতে হবে।’