১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ তার সপরিবার কে হত্যা’ ২১আগস্ট গ্রেনেড হামলায় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা কে হত্যার চেষ্টা
সাহাদাৎ হোসেন, জেলা প্রতিনিধি-(নারায়ণগঞ্জ)
১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ তার সপরিবার কে হত্যা’ ২১আগস্ট গ্রেনেড হামলায় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা কে হত্যার চেষ্টা
আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে’ আলোচক: প্রেস কাউন্সিল সম্মানিত সদস্যবৃন্দ। সভাপতি: এড. সৈয়দ রেজাউর রহমান। সদস্য বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল ও মাননীয় প্যানেল চেয়ারম্যান,
শোকাবহ দিনে ১ মিনিট নিরবতা পালনের মধ্য দিয়ে পবিত্র কোরআন পাঠ করেন মাওলানা হাফেজ। শনিবার সকাল ১০ টায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
শোক দিবস সকল শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছে আলোচনা রাখেনঃমাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক তথ্য উপদেষ্টা জনাব ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন। ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবার সহ সবাই কে নিষ্ঠুর নির্মমভাবে হত্যা করে। একদল হানাদার বাহিনীরা বিএনপি মেজর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে।
তাতেও তারা ক্ষেন্ত হয়নি ২১ আগস্ট নিল নকশা তৈরি করে বেগম খালেজাদিয়া ও তার পুত্র তারের রহমান,গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা কে হত্যার উদ্দেশ্য ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ ঘটায় এতে হত্যার শিকার হয় ড. আইভি রহমানসহ আওয়ামী লীগের নেতা নেত্রীসহ দেশ প্রেমিকরা।
মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে দেশ রত্ন শেখ হাসিনা বেঁচে তবে তার কানে সমস্যা রয়ে যায়, ৭৫ রে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা বেঁচে যায়।
১৯৮১ পর থেকে শেখ হাসিনা মাঠে নামেন। চাঙ্গা করে তুলেন আওয়ামী দল কে শক্তিশালী রূপান্তরে দাড় করান। ২০০৮ সালে ২য় বারে আবার বিজয় লাভ করে ক্ষমতার চেয়ার দখল করেন আওয়ামী লীগ সরকার। বিএনপি আবার নীল নকশা তৈরি করে শেখ হাসিনা কে হত্যা করতে ১৯ বার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে পরেন। ব্যর্থ হয় তারেক জিয়া।
রাখেন আল্লাহ মারে কে।
বিএনপি আর জামাতিরা এ দেশে একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে একের পর এক জজমিয়া নাটক সাজায়। তিনি এইসব কথা বলেন এবং রুরাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন( আরজেএফ) এর নিয়মিত প্রকাশনা আরজেএফ ভয়েস পড়ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক তথ্য উপদেষ্টা জনাব ইকবাল সোবহান চৌধুরী পাশে রয়েছেন বাংলাদেশ।
এমপি মোজাফফর পল্টু বলেন:
সারাজীবন ক্ষমতায় থাকতে খালেদা-তারেক, তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার উপর গ্রেনেড হামলা চালায়। খুনিদের টার্গেট ছিলো শেখ হাসিনা।
ওরা ভেবেছিলো শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে পারলেই দেশে আর কোন শক্তিশালী বিরোধী দল থাকবে না। তখন আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব শূন্য হয়ে যাবে। আল্লার অশেষ রহমতে নেতাকর্মীদের মানবঢালে সেদিন শেখ হাসিনা প্রাণে বেচে যান। নিহত হয় আওয়ামী মহিলা লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক বেগম আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মী।
এছাড়া ওই হামলায় আরো ৪শ’র অধিক নেতাকর্মী আহত হয়। আহতদের অনেকেই চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছেন। তাদের কেউ কেউ আর স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাননি। এসময় মন্ত্রী নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করেন।
প্রেস কাউন্সিলে জাতীয় শোক দিবস পালিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল। সকালে প্রেস কাউন্সিলর প্যানেল চেয়ারম্যান এডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা ও খাতুনে জান্নাত সীমা।
সভা পরিচালনা করেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব মোঃ শাহ আলম।
আলোচনা সভায় রুরাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন (আরজেএফ) ও এনপিএসসহ কয়েকটি সংগঠনের সদস্যবৃদ্ধ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে ১৫ ও ২১ আগস্ট নিহতদের রুহের আত্মার মাখফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।