জাতীয়

বিদেশ ফেরত ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় প্রবাসীরা ৩ কোটি টাকার নগদ অর্থ সহযোগিতা পাচ্ছে।

স্টাফ রিপোর্টারঃ

করোনাভাইরাস মহামারীর এই সঙ্কটময় সময়ে চাকরি হারিয়ে বিদেশ প্রত্যাগত ৭ হাজার ২৫০ জন ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় প্রবাসী কর্মীকে জরুরি সহায়তা হিসেবে নগদ তিন কোটি টাকা অর্থ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। ব্র্যাক এর উদ্যোগে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ভার্চুয়াল একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন। মূলত ব্র্যাকের নিজস্ব অর্থায়ন, রয়েল ড্যানিশ দূতাবাস, সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কোঅপারেশন (এসডিসি), প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে আইওএম ব্র্যাকের যৌথভাবে পরিচালিত ব্র্যাক ইউকের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে নগদ এই অর্থ প্রদান করা হচ্ছে।
বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে এবং স্থানীয়ভাবে প্রত্যাগত কর্মীদের প্রকৃত অবস্থা যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে তালিকা প্রস্তুত করে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বিকাশের মাধ্যমে নগদ এই অর্থ পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। অনুষ্ঠানে ব্র্যাক জানিয়েছে, ইতোমধ্যে এক হাজার ৫৪৫ জন বিদেশ ফেরত কর্মীর কাছে ৬১ লাখ ৮০ হাজার টাকা পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এছাড়া বাকি পাঁচ হাজার ৭০৫ জনের যাচাইবাছাই চলছে। তারাও দ্রুততম সময়ের মধ্যে জরুরি এই অর্থ সহায়তা পাবে।
সউদী আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, কুয়েত, কাতার, মালয়েশিয়া, লিবিয়া, ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে যারা ফিরেছেন তারা এই সহায়তা পাচ্ছেন। ব্র্যাক জানিয়েছে, শুধু জরুরি সহায়তা নয়, ব্র্যাকের নিজস্ব অর্থায়ন ও দাতাদের সহায়তায় বিদেশ থেকে চাকরি হারিয়ে দেশে ফেরত আসা কর্মীদের মনোসামাজিক সেবা, দক্ষতা তৈরি, অর্থনৈতিক স্বাবলম্বির জন্য আগামী তিন বছরে প্রায় ১০০ কোটি টাকা পরিকিল্পিতভাবে ব্যয়ের পরিকল্পনা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ঢাকার ড্যানিশ দূতাবসের ডেপুটি চিফ অব মিশন রেফিকা হেইতা কোপেনহেগেন থেকে যুক্ত হয়ে বলেন, কোভিড ১৯ এর প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ায় হাজার হাজার প্রবাসী বাংলাদেশ বিদেশ থেকে ফিরতে শুরু করেন। এমন জরুরি পরিস্থিতিতে বিদেশ ফেরতদের সহায়তা করার উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্র্যাকের সিনিয়র ডিরেক্টর কে এ এম মোর্শেদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা ও মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ব্র্যাকের মাইগ্রেশন কর্মসূচি প্রধান শরিফুল হাসান। বায়রার মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান বলেন, অভিবাসীদের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে ব্র্যাক সবসময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। করোনার এই সময়েও সবার আগে তারা উদাহরণ তৈরি করলো। আমরাও ভাবছি কী করা যায়। সবাই মিলে ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের পাশে দাঁড়াতে হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button