এমপি’র সুপারিশ পেয়ে আনন্দে কাঁদল করিমন্নেছা; এবার হয়তো মাথা গোঁজার ঠাই হবে
এ কে আজাদ, পাইকগাছা উপজেলা প্রতিনিধি-(খুলনা)
এমপি’র সুপারিশ পেয়ে আনন্দে কাঁদল করিমন্নেছা; এবার হয়তো মাথা গোঁজার ঠাই হবে
এমপি’র সুপারিশ পেয়ে আনন্দে কেঁদে ফেলল করিমন। এবার হয়তো মাথা গোঁজার একটা ঠাই হবে। অসহায় করিমনের হতাশা কেটে এখন চোখেমুখে যেন হাসি ফুটেছে। একটি মানবিক দরখাস্তে খুলনা-৬ এমপি আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু সুপারিশ করে দিয়েছেন, তাতেই মহাখুশি অসহায় করিমন।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, কপিলমুনি বাজার কুড়িয়ে কোনমতে চলে করিমনের ৪ সদস্যের পরিবার। জীবিকার তাগিদে কখনও কপিলমুনি বাজারের কাঁচামাল হাটার উচ্ছিষ্ট দ্রব্য গুলো কুড়িয়ে আবার কখনও ব্যাবসায়ীদের কাজে কিছুটা সহযোগিতা করে করিমন যা পায় তাই দিয়ে চলে সংসার। স্থানীয় বস্তিতে ৮শ টাকা ঘরভাড়া দিয়ে থাকে করিমন, মেয়ে, নাতী ও অসুস্থ জামাই। তাদের নেই নিজস্ব জমি ও ঘর। স্বামী পরিত্যাক্তা অসহায় করিমন এভাবেই উপার্জন করে একমাত্র মেয়েকে বিবাহ দিয়েছে।
জামাই দীর্ঘদিন অসুস্থতার কারণে ও উপার্জন করতে না পারায় সেই এখন একমাত্র অবলম্বন। জীবিকার তাগিদে রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে পরিবারের মুখে অন্ন যোগায় করিমন। তার আশা অসহায় মানুষের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি ঘর পেলে বাচ্চাদের নিয়ে একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই হতো। তাইতো সে ছুটে যায় খুলনা-পাইকগাছার গণমানুষের অভিভাবক খুলনা-৬ এমপি আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু’র কাছে। তিনিও তাকে ফিরাননি।
দিয়েছেন দরখাস্তের পাশেই সুপারিশ করে। আর এ সুপারিশ টুকুই যেন করিমনের মুখে হাসি ফুটিয়ে দিয়েছে। একমুখ হাসি নিয়ে ফিরে আসে করিমন। তার এই আনন্দের অনুভূতি জানায় কপিলমুনি বাজারের স্থানীয় দোকানদার ও পরিচিত অনেককে। আনন্দে কেঁদে ফেলে সে। দোয়া করে এমপি বাবু ভাইয়ের জন্য। করিমন জানায়, এমপি বাবু ভাইয়ের সুপারিশ পত্রখানা ইউএনও স্যারের কাছে মঙ্গলবার জমা দিয়ে এসেছে সে। এ ব্যাপারে মানবিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অসহায় করিমন।