ভারতের রোমাঞ্চকর জয়
খেলা গড়িয়েছে শেষ দিনের শেষ সেশনে। এই একমাত্র সেশনেই গুঁড়িয়ে দিতে হবে প্রতিপক্ষকে, তা হলে ধরা দিবে কাঙ্ক্ষিত জয়। যদিও মধ্যাহ্ন বিরতির পরই ইনিংস ঘোষণা করে ম্যাচ জেতার কীর্তি ছিল মাত্র একটি। ১৯৮৪ সালে ক্যান্ডিতে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। লর্ডস টেস্ট জিততে হলে ভারতকে তাই এই ইতিহাস নতুন করে লিখতে হতো। আর সেই ইতিহাস গড়তে ভুল করেননি সিরাজ-বুমরা-ইশান্তরা।
সোমবার (১৬ আগস্ট) ওয়েস্ট ইন্ডিজ-পাকিস্তানের শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচের পর আরও একটি রোমাঞ্চকর টেস্ট দেখল ক্রিকেট বিশ্ব। লর্ডসে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডকে ১৫১ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে ইতিহাস গড়েছে ভারত। জয়-পরাজয়ের ব্যবধান বড় মনে হলেও আর একটু হলেই ড্র এর স্বাদ পেতে পারত ইংলিশরা।
বৃষ্টিবিঘ্নিত দিনে ৭৯.২ ওভার খেলার পর ম্যাচ আর বেশি দূর গড়ানোর সুযোগ ছিল না। কিন্তু ২৭২ রানের লক্ষ্যে নামা ইংল্যান্ড অলআউট হয়ে যায় মাত্র ১২০ রানেই। জো রুটের ৬০ বলে ৩৩, জস বাটলারের ৯৬ বলে ২৫, মঈন আলীর ৪২ বলে ১৩ রানের ইনিংসগুলো ইংল্যান্ডের পরাজয় ঠেকানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না।
ইংলিশদের লেজ গুড়িয়ে দেয়া মোহাম্মদ সিরাজ ৪টি, জাসপ্রিত বুমরা ৩টি এবং ইশান্ত শর্মা দুটি উইকেট শিকার করেন।
একটি মাত্র উইকেট শিকার করা মোহাম্মদ শামি অবশ্য এর আগে বুমরাহকে নিয়ে ব্যাট হাতে দেখান দারুণ দৃঢ়তা। ২০৯ রানে অষ্টম উইকেট হারানো ভারত তাই ২৯৮ রানে ইনিংস ঘোষণা করে আর কোনো উইকেট না হারিয়েই। শামির ৭০ বলে অপরাজিত ৫৬ ও বুমরাহর ৬৪ বলে অপরাজিত ৩৪ রান কাজ করেছে ভারতের ম্যাচ জয়ের টনিক হিসেবে।
তবে ম্যাচ সেরা হয়েছেন প্রথম ইনিংসে ১২৯ রানের ইনিংস খেলা লোকেশ রাহুল। আর ১৫১ রানের এই বিশাল ও ইতিহাস গড়া জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বিরাট কোহলির দল।