পাগল উম্মাদকে কেন এখন পর্যন্ত জেলা আ.লীগের সেক্রেটারী রাখা হয়েছে: কাদের মির্জা
মোঃ ফখর উদ্দিন, নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
পাগল উম্মাদকে কেন এখন পর্যন্ত জেলা আ.লীগের সেক্রেটারী রাখা হয়েছে: কাদের মির্জা
বাংলাদেশ আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা বলেছেন, একরাম নোয়াখালী জেলা আ.লীগের সেক্রেটারী।সে একজন এমপি।
গত ৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য সন্তান শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্ম দিনের এক অনুষ্ঠানে সে বলেছে,একরাম তার ছেলেসহ বাংলাদেশ আ.লীগের রাজনীতির সাথে আর থাকবেনা। শুধু নোয়াখালীতে না তারা সারা বাংলাদেশের আ.লীগের রাজনীতির সাথে আর থাকবেনা।
এর কিছুক্ষণ পর আবার ফেসবুক লাইভে এসে সাংবাদিকদের গালাগাল করে বলল আমি এ কথা বলি নাই।অথচ ইতিমধ্যে ফেসবুকে তার কথাটা ভাইরাল হয়ে গেছে।একটা পাগল উম্মাদকে কেন এখন পর্যন্ত জেলা আ.লীগের সেক্রেটারী রাখা হয়েছে জানিনা।
শনিবার (১৪ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টায় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন। প্রায় ৪৭ মিনিটের লাইভে কাদের মির্জা অভিযোগ করেন, এই একরাম সেই একরাম যে একরাম বলছে ওবায়দুল কাদেরের পরিবার রাজাকার পরিবার।
মদ খেয়ে, মাতাল অবস্থায়।সে সব কথা মাতাল অবস্থায় বলে। সে সারাক্ষণ মদ পানে ব্যস্ত থাকে,মাতাল অবস্থায় সব সময় কথা বলে।সে আরেক বার বলেছে ৬৯ সালে নাকি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কোন পদে ছিলনা। বঙ্গবন্ধু তখন আ.লীগের সভাপতি ছিলেন না। কয় শেখ হাসনিা ৬৮ এর আগে কোন দায়িত্বে ছিলেন না।
১৯৬৬-৬৭ সালে জননেত্রী শেখ হাসনিা ইডেনের ভিপি ছিলনা। একি রাজনীতি বুঝে বা জানে। একটা উদ্ভট মাতাল বাজে লোককে জেলা আ.লীগের সেক্রেটারী বানানো হইছে এটা অন্তত দুঃখজনক। নোয়াখালীকে সে কলঙ্কৃত করেছে।নোয়াখালীর রাজনীতিকে সে ধ্বংস করেছে। এ ছেলে এখনো ছেলেমী করে। তার টাকা আছে এজন্য তাকে এখনো সেক্রেটারী রাখা হইছে।
কাদের মির্জা বলেন, নোয়াখালীর ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবে জননেত্রী শেখ হাসনিা,আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন যিনি এ অঞ্চলের দায়িত্বে আছেন। যুগ্ম-সম্পাদক হিসেবে মাহবুবুল আলম হানিফ হস্তক্ষেপ করবেন। অন্যদের কাজ কি নোয়াখালী নিয়ে কথা বলার। টাকা খেয়ে দালালি করা। একটা অরাজনৈতিক ছেলেকে এভাবে পুর্নবাসন করা এটা লজ্জাকর ব্যাপার,দুঃখজনক ব্যাপার।
একটা মাতাল ছেলেকে এখানে পুনবার্সন করা হচ্ছে।তিনি আরও বলেন, এ নোয়াখালী মালেক উকিলের নোয়াখালী,নুরুল হক সাহেবের নোয়াখালী,এ নোয়াখালী শহীদ উদ্দিন কচি ভাইয়ের নোয়াখালী। এ নোয়াখালীর সম্মান নষ্ট করেছে একরাম। তাই বলব (১৫ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবসকে সামনে রেখে তাকে অনতিবিলম্বে নোয়াখালীর রাজনীতি থেকে সরানো হোক।
সে এখানে সেক্রেটারী হওয়ার বা কোন পদে যাওয়ার যোগ্যতা রাখেনা। সে এমপি হওয়ারও যোগ্যতা রাখেনা।রাজনীতিবিদেরা তার অর্থের কারণে,তার অস্ত্রের কারণে তাকে নেতৃত্বে রাখা হবে এটা মেনে নেওয়া যায়না।আওয়ামীলীগের ত্যাগী কর্মিরা এটা মানবেনা। কখনো মানতে পারেনা।