পাইকগাছায় ভেঙ্গ পড়েছে তপনের মাটির তৈরী বসত ঘর খানি; পাননি কোন অনুদান
এ কে আজাদ পাইকগাছা উপজেলা প্রতিনিধি-(খুলনা)
পাইকগাছায় ভেঙ্গ পড়েছে তপনের মাটির তৈরী বসত ঘর খানি; পাননি কোন অনুদান
ফের ভেঙ্গে গেলো তপনদের মাটির তৈরি বসত ঘর খানি। ভারী বর্ষণের চাপ সইতে না পেরে দু’দফায় দু’টি দেওয়াল ভেঙ্গে পড়েছে তার বসত ঘরটি।
সাহায্য সহানুভূতি ছাড়াই এক প্রকার মানবেতর দিন কাটছে তপন পরিবারে। সরকারী ভাবে কোন সাহায্য পাননি তিনি। জানাগেছে, জগৎ বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার পিসি রায়ে জন্মস্থান খ্যাত পাইকগাছার রাড়ুলীর স্টিমার ঘাট এলাকায় তপন বিশ্বাসের বসবাস। বৃদ্ধা মা ও দু’ মেয়েসহ তপন দম্পতির একমাত্র সম্বল মাটির ঘরের ঝুপড়িতে দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস করে আসছেন। তবে ভাল চোখে দেখেনি আগ্রাসী বৃষ্টি। গত ১৭ জুন’র ভারি বৃষ্টিতে প্রথম দফায় ধ্বসে পড়ে ঘরের এক পাশের দেওয়াল। এরপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যেও সেখানে বসবাস করছিল তারা।
তবে গত বৃহস্পতিবারের ভারি বৃষ্টিতে দ্বিতীয় দফায় ধ্বসে পড়েছে ঘরটির আরো একটি দেওয়াল। অন্য কোন অবলম্বন না থাকায় এক প্রকার বাধ্য হয়ে স্ত্রী, দু’সন্তান ও বৃদ্ধা মাকে নিয়ে দেওয়াল ছাড়াই ধ্বসে পড়া ঘরে বসবাস করছেন তপন পরিবার।
করোনাকালে সরকারি নানা সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি সর্বশেষ অতিবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন পরিবার সহায়তা পেলেও তপনের ভাগ্যে জোটেনি তার কোন কিছু। তাতেও আক্ষেপ নেই তপনদের। মাটির ঘরের দু’পাশের দেয়ালবিহীন ঘরে থাকাটাই আতংকের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তপন পেশায় একজন নরসুন্দর (নাপিত) যৎসামান্য আয়ের উপর ভর করেই চলে অসুস্থ্য বৃদ্ধা ও এক মেয়েসহ পাঁচ জনের সংসার।
তপন জানায়, আয়ের সিংহভাগ ব্যায় হয়, অসুস্থ্য মা ও মেয়ের চিকিৎসায়। এরপর যা থাকে তা দিয়ে কোন রকম নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থায় চলছিল তাদের সংসার। তার উপর দু’দফায় একমাত্র ঝুপড়িটির দেয়াল ধ্বসে পড়ায় মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও হারাতে বসেছেন তারা। এ যেন তপনের কাছে মরার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতই অবস্থা। এমন পরিস্থিতিতে স্ত্রী-সন্তান ও মাকে নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটছে তার।
তপন জানায়, স্বল্প আয়ের মাঝে সংসার চললেও কখনো কারো কাছে হাত পাতেননি তিনি। তবে এবার যেন আর কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছে না সে। তাই তার করুণ আকুতি অন্তত ঘরটি মেরামতের জন্য সরকারি-বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কিংবা সমাজের এমন কেউ যদি তাকে ন্যুনতম সহযোগিতা করতে পারেন! তাকে সহযোগিতা করতে মোবাইল নং- ০১৭৪৩-৩৮৮৫৩০।