জাপানে করোনা পরিস্থিতি অবনতিতে জরুরি অবস্থা জারির পরামর্শ
জাপানের করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। বুধবার রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমে এনএইচকে নতুন করে আরও ১৪ হাজার ২০৭ জনের কোভিড শনাক্তের খবর দিয়েছে। এদিন দেশটির করোনাভাইরাস বিষয়ক উপদেষ্টা প্যানেলের প্রধান পরিস্থিতি মোকাবিলায় বর্তমানে বিভিন্ন স্থানে জারি থাকা জরুরি অবস্থা সারাদেশে কার্যকরের আহ্বান জানিয়েছেন।
অতি সংক্রামক ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে জাপানের বিভিন্ন স্থানে করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটে। বুধবার সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের জন্য এই ভ্যারিয়েন্টকে দায়ী করছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইনফেকশাস ডিজিজেস। সংস্থাটি বলছে, এ মাসের গোড়ার দিকে ক্যান্টো অঞ্চলে প্রায় ৯০ শতাংশ এবং কানসাই অঞ্চলে প্রায় ৬০ শতাংশ নতুন সংক্রমণের জন্য দায়ী এই ভ্যারিয়েন্ট।
করোনাভাইরাস বিষয়ক উপদেষ্টা প্যানেলের প্রধান ওমি শিগেরু বুধবার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে এক বৈঠকে এ নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, চলমান সংক্রমণ বৃদ্ধির পেছনে একটি নিশ্চিত উপাদান হচ্ছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট।
তিনি বলেন, কয়েক মাস ধরে বলবৎ থাকা নিয়ন্ত্রণের পর করোনাভাইরাস এবং জরুরি অবস্থায় মানুষ অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে।
টোকিও এবং পাঁচটি জেলা বর্তমানে জরুরি অবস্থার আওতায় রয়েছে। ওমি বলেন, সারা দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হবে কি না এবং তা করা হলে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, সরকারের উচিত হবে তা নিয়ে আলোচনা করা।
প্রধানমন্ত্রী সুগা ইয়োশিহিদে সোমবার সরকারের নতুন নীতি ঘোষণা করেছেন। এতে বলা হয়েছে, মারাত্মক উপসর্গ যাদের নেই এমন রোগীদের বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিতে বলা হবে। মঙ্গলবার সুগা চিকিৎসা সমিতির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি করোনা রোগীদের চিকিৎসার বিষয়ে কথা বলেন।