সোনাতলা থানার ওসি রেজাউল করিম রেজার সততায় মূগ্ধ থানাবাসী
বিকাশ চন্দ্র স্বর্নকার, বগুড়া প্রতিনিধিঃ
সোনাতলা থানার ওসি রেজাউল করিম রেজার সততায় মূগ্ধ থানাবাসী
বগুড়ার সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম রেজা করোনাকালে-লকডাউনে সততা ও নিষ্ঠার সাথে জনগনের সেবায় দিনরাত নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর সততা, উদারতা, ন্যায়পরায়ণতা, কর্মনিষ্ঠা, নিরহংকারী, নির্ভীক, যে কোন শ্রেণীর মানুষের সাথে সৌহার্দপূর্ণ আচরণ এবং অসহায় মানুষের প্রতি তাঁর অকৃত্রিম ভালবাসা সত্যিকার সোনাতলা থানার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে মুগ্ধ করেছেন।
এমন নির্লোভ বহুমাত্রিক কৃতিত্বের অধিকারী একজন আলোকিত মানুষ, যিনি মানুষ ও সমাজের জন্য নীরবে-নিভৃতে কাজ করে চলেছেন। সাদা মনের আলোকিত মানুষটি হলেন, আর কেউ নয়।
সোনাতলা থানার ওসি রেজাউল করিম রেজা, তিনি গত বছরের ২০ই অক্টোবর থেকে সোনাতলা থানায় ওসি হিসেবে কর্মরত আছেন। প্রশাসনের মানুষ হয়েও নিরহংকারী এই মানুষটির, সব শ্রেণির মানুষকে আপন করে নেয়ার গুণ রয়েছে তাঁর মধ্যে। তিনি সকলের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন খোলা মনে। একজন সফল পুলিশ অফিসার হিসেবে ইতিমধ্যেই সোনাতলা থানার প্রতিটি মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন এবং যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।
তাঁর কাজকর্মের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত উন্নত মন—মানসিকতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন। সুন্দর ও ভাল মনের মানুষ হলে জীবনের সকল পর্যায়ে ভাল কাজ করা সম্ভব এ বিষয়টির অন্যতম নিদর্শন রেজাউল করিম রেজা।
সততা ও দক্ষতার সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন সর্ব সাধারণের কাছে। পুলিশের প্রতি অনেকের বিরুপ ধারনা থাকলেও রেজাউল করিম রেজার মতো একজন সৎ অফিসারের জন্য পুলিশের ভাবমূর্তি অনেকটা উজ্জল হচ্ছে।
করোনাকালে লকডাউন চলাকালীন সময়ে জিবনের ঝুঁকি নিয়ে, নিজে শ্ব-শরীরে মাঠে থেকে তার পুলিশ বাহিনীকে নিয়ে অবিরাম ছুটে বেড়িয়েছেন থানার একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। করোনা-লকডাউন বাস্তবায়নে শুরু থেকেই জনগনকে ঘরে রাখতে সোনাতলা থানার খোদ এই ওসির নেতৃত্বে মাঠে রয়েছে প্রায় অর্ধ শতাধিক পুলিশ সদস্য।
এতে করে কিছুটা হলেও সফলতা মিলেছে বলে ভূয়সী প্রশংসা করছেন এখানকার সচেতন মহল। সোনাতলা থানা এলাকায়,ওসি রেজাউল করিম রেজার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে থেকে পুলিশের অক্লান্ত পরিশ্রমে এবং প্রচেষ্টায় করোনার প্রকোপ অনেকটায় কমেছে ৷ গত ২৯ই জুলাই বিকেলে ওসি রেজাউল করিম রেজা নিজে আড়িয়াঘাট এলাকায় জনগনকে হান্ড মাইকে প্রচারের মাধ্যমে করোনা কালিন সময়ে ঘরে থাকার আহবান করতে দেখা গেছে।
আড়িয়ঘাটের চা বিক্রেতা মোঃ তৈয়ব আলি বলেন-পুলিশ এসে আমার দোকান বন্ধ রাখতে বলেছে। এটা আমার নিজের ও পরিবারের সুস্থতার কথা চিন্তা করেই বলেছেন তিনি। সেজন্য পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান ওই চা বিক্রেতা।
সোনাতলা থানার ওসি রেজাউল করিম রেজা জানান-করোনা ও লকডাউন ঘোষণার আগে-পরে পুলিশ সদস্যরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষকে নিরাপদ রাখতে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি পৌরবাসী সহ থানার জনগনকে ঘরে থেকে সরকারের দেয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান।তিনি আরও, বলেন আমার কর্তব্য কাজে আমি কখনো আপোষ করি না। আমি সততার সাথে পুলিশ সুপার মহোদয় এর দিক নির্দেশনা মোতাবেক সেবামুলক কাজের মাধ্যমে, বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমুর্তি উজ্জ্বল করার চেষ্টা করে যাবো।
আমার থানা এলাকা থেকে মাদক, চুরি, ছিনতাই, জুয়া, জঙ্গি সহ সকল প্রকার অপকর্মের বীজ উপড়ে ফেলবো। আমার থানার কোন অফিসার কোন অপকর্ম করলে, কোন মাদক ব্যবসায়ীর নিকট থেকে কোনো সুবিধা নিলে কিংবা ঘুষ আদায় করলে নির্ভয়ে থানায় এসে জানাতে বলেন। পুলিশ বলে আমার কাছে কোনো প্রকার ছাড় নেই। গরিব দুঃখী, অসহায়, হতদরিদ্র মানুষ সহ সকলের জন্য থানার দরজা উন্মুক্ত বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি সাংবাদিকদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।