জেলার খবর

অতিবৃষ্টিতে বাঁশখালী পশ্চিম বড়ঘোনার যোগাযোগ ব্যবস্থার বেহাল দশা

এনামুল হক রাশেদী, বাঁশখালী উপজেলা প্রতিনিধি-(চট্টগ্রাম)

অতিবৃষ্টিতে বাঁশখালী পশ্চিম বড়ঘোনার যোগাযোগ ব্যবস্থার বেহাল দশা

লাগাতার অতিবৃষ্টিতে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার ৯ নং গন্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনার অভ্যন্তরিন যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। হাঁটু ও কোমর পানিতে তলিয়ে গেছে গুরুত্বপুর্ণ সবকটি রাস্তা।

অল্প বৃষ্টিতেই স্থানীয় সকাল বাজারের প্রতিটি অলি-গলি পঁচা ও নোংরা পানিতে তলিয়ে যায়, বাজারের ভিতরে এবং বাহিরে হাঁটু পরিমান নোংরা ময়লা পানিতে হেঁটে হেঁটে প্রতিদিন সবাইকে বাজার করতে হয়। বাজারে নিত্য পন্য নিয়ে সওদাগররা বসার সুযোগও থাকেনা।গন্ডামারা-বড়ঘোনায় প্রতিষ্টিতব্য ১৩২০ মেঃওঃ এস এস পাওয়ার প্ল্যান্টের কারনে পশ্চিম বড়ঘোনার সবকটি রাস্তায় অতীব গুরুত্বপুর্ন সড়ক।

যার মধ্যে সকাল বাজার থেকে পশ্চিম বড়ঘোনা রহমানিয়া মাদ্রাসা সড়ক, উপজেলামুখী রহমানিয়া সড়ক, খাটখালী জেটিমুখী আশ্রাফ আলী সড়ক, শহীদ বদিউল আলম সড়ক, পাওয়ার প্ল্যান্টের ১ নং গেইটমুখী শাহ ফতেহ আলী সড়ক অতিবৃষ্টিতে হাঁটু ও কোমর পানিতে তলিয়ে আছে দির্ঘসময় ধরে। যার ফলে স্থানীয় জনগনের চলাচলে চরম ভোগান্তির পাশাপাশি মারাত্বকভাবে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে পাওয়ার প্ল্যান্টে কর্মরত হাজার হাজার শ্রমিকদের চলাচল ও পাওয়ার প্ল্যান্টের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্টানে নিত্যদিনের পন্য পরিবহনে।

পানিতে তলিয়ে যাওয়া রাস্তা দিয়ে সিএনজি অটোরিক্সায় নিত্যদিনের পন্য পরিবহন করতে গিয়ে ২৯ ও ৩০ জুলাই দুদিনে ২/৩ টি সিএনজি মালামাল সহ রাস্তা থেকে পাশের খাদে পড়ে ডুবে গিয়ে কয়েকজন যাত্রি ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায়।
আজ ৩১ জুলাই’২১ ইং শনিবার দিনের বেলায় বৃষ্টি একটু কম হলেও রাস্তা থেকে পানি কমেনি।

মূলত বিগত দুয়েকবছরে অপরিকল্পতভাবে পাওয়ার প্ল্যান্টের বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে উঠার ফলে বৃষ্টির পানি সাগরে নেমে যাওয়ার পথ রুদ্ধ হয়ে পড়ে। এতদঞ্চলের জনগন অতীতে যত বৃষ্টিই হউক কখনো জলাবদ্ধতার শিকার হয়নি, বন্যা বা অতিবৃষ্টির পানি সাথে সাথেই সাগরে নেমে যেত। কিন্তু এস এস পাওয়ার প্ল্যান্টের কাজ শুরু হওয়ার পর স্থানীয় জনগন যত্র তত্র স্থাপনা গড়ে তোলার ফলে এবং পাওয়ার প্ল্যান্টের ভরাটকৃত মাটি ও বালি জমে পানি চলাচলের পথ প্রায়ই বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে অল্পবৃষ্টিতেই চলাচলের সকল রাস্তা গভীর পানিতে তলিয়ে যায়।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব লেয়াকত আলী তাঁর মরহুম বাবার নামে প্রতিষ্টিত আলহাজ্ব দুদু মিয়া ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে বর্ষার শুরুতে ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে জনগনের চলাচলের রাস্তাগুলো ব্রিকসলিনসহ ইউনিয়নের প্রধান সড়কগুলোর বড় বড় গর্তগুলো রিপেয়ার করে দিলেও রাস্তাগুলো দির্ঘসময় পানিতে ডুবে থাকার ফলে তা পুর্বের মক ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যাবে।

পানি নেমে যাওয়ার পরও রাস্তাগুলো যান চলাচল এবং জনগনের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। এতে পাওয়ার প্ল্যান্ট সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী, হাজার হাজার শ্রমিক, স্কুল মাদ্রাসায় পড়ূয়া কোমলমতি ছাত্র ছাত্রি এবং স্থানীয় জনগনের চলাচলের ভোগান্তির শেষ থাকবেনা। তাই জাতীয় গুরুত্বপুর্ন স্থাপনা পাওয়ার প্ল্যান্টের কাজের অগ্রগতি, ছাত্র ছাত্রিদের শিক্ষা প্রতিষ্টানে যাতায়াত এবং স্থানীয় জনগনের ভোগান্তির কথা অামলে এনে জরুরী ভিত্তিতে গন্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনার রহমানিয়া মাদ্রাসা সড়ক, মাওলানা আশ্রাফআলী সড়ক, শাহ ফতেহ আলী সড়ক ও রহমানিয়া সড়কের জরুরী ভিত্তিতে সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button