ধামরাইয়ে গাজীখালী নদী ভাঙ্গনে বিলিন হওয়ার পথে স্কুল, মসজিদ,মাঠ সহ শতাধিক দোকান ঘর
রনজিত কুমার পাল (বাবু) স্টাফ রিপোর্টারঃ
ধামরাইয়ে গাজীখালী নদী ভাঙ্গনে বিলিন হওয়ার পথে স্কুল, মসজিদ,মাঠ সহ শতাধিক দোকান ঘর
ঢাকার ধামরাই উপজেলার নওগাও বাজারে গাজীখালী নদীর ভাঙ্গনে পাঁচটি দোকান ঘর বিলিন হয়ে গেছে এছাড়াও গাজী খালি নদীর প্রচন্ড স্রোতে বিলীন হওয়ার পথে নওগাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,বাজারের দোকান ঘর,আশ্রাফ আলী উচ্চ বিদ্যালয় সহ বাজারের শতাধিক দোকান ঘর ভাঙ্গনের হুমকির মুখে রয়েছে।
নদীর পানি বৃদ্ধি ও প্রচন্ড স্রোত অব্যাহত থাকায় নদীর পাশে বসত বাড়ি, এবং স্কুল রক্ষা করার জন্য স্থানীয়রা বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙনের হাত থেকে বাঁচার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তবে ভাঙন প্রতিরোধে যদি দ্রুত কোন ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে স্কুল, বাজারসহ একাধিক স্থাপনা ভাঙ্গনের ঝুঁকির মধ্যে থাকবে।
উল্লেখ্য- ধামরাই উপজেলার সূতিপাড়া ইউনিয়নের নওগাঁও গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে চলেছে গাজী খালি নদী। দীর্ঘদিন মানুষ কোন সেতু না থাকায় বাঁশের সাঁকো দিয়েই পারাপার হতো এতদ্ অঞ্চলের সকল মানুষ।
সম্প্রতি নদীর ওপর দিয়ে টেকসই সেতু তৈরি করা হচ্ছে। তবে খুবই ধীরগতিতে। সেতুটি ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও তা এখনো শেষ হয়নি।
নওগাঁও এলাকার দক্ষিণে বাথুলি গ্রামে আহাদ ব্রিকস,নূর ব্রিকস ও কেবিসি ব্রিকস নামে তিনটি ইটের ভাটা রয়েছে। তাদের গাড়ি যাওয়া আসার জন্য নদীর উপর দিয়ে মাটি ভরাট করে বিকল্প রাস্তা নির্মাণ করেছে।
বর্তমানে নদীর স্রোত বেড়ে যাওয়ার ফলে কয়েকটি দোকান এবং বেশ কিছু বড় গাছ নদীতে পড়ে গেছে।
সেই সাথে ২ শত বছরের ঐতিহ্যবাহী বট গাছের চারপাশও ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। যে কোন সময় গাছটি নদীতে বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সাথে প্রচন্ড ঝুঁকিতে রয়েছে নওগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও।
এছাড়াও মসজিদ,খেলার মাঠ ভাঙ্গনের হুমকিতে রযেছে।
স্থানীয়রা জানান, যদি সেতুর পাশে বিকল্প রাস্তার মাঝে কেটে না দেওয়া হয় তাহলে বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
স্থানীয়রা আরও জানান, বিষয়টি আমরা স্থানীয় সূতিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাজাকে জানিয়েছি। তিনি এসে দেখে গেছেন। তিনি ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।
৫০ নং নওগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম রসুল বলেন,হঠাৎ করে গাজী খালি নদীর পানি বেড়ে প্রচন্ড স্রোতের কারণে বাজারের দোকান নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গনের হুমকিতে রযেছে স্কুল, খেলার মাঠ,মসজিদ ও শতাধিক দোকান ঘর।তাই আমি বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েছি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।
এদিকে ব্রিজ নির্মাণের তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বলেন, রাস্তাটা আমরা করিনি। করেছে ইট ভাটার মালিকরা তাদের সুবিধার জন্য। স্থানীয় ভাবে বিষয়টি সমাধান করলে ভালো হয়।
নওগাঁও বাজার বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ বলেন, নদীর উপর সাইড রাস্তা ইট ভাটার মালিকরা ভাঙতে দেয় না। তাদের প্রভাব বেশি। কয়েকটি দোকান নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বিকল্প রাস্তাটি কেটে না দিলে বাজার নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।
এ’বিষয়ে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী বলেন উপজেলা প্রকৌশলীদের সাথে কথা বলে নদী ভাঙ্গন রোধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।