করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সুস্থতার হার একদিনে ১৬ দশমিক ১৫ শতাংশ বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। সোমবার (১৫ জুন) ১৫ হাজার ২৯৭ জনকে সুস্থ দেখানো হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সুস্থতা ঘোষণার প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনার কারণে একদিনে সুস্থদের সংখ্যা এতো দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই বিষয়ে নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, বাসায় এবং উপসর্গবিহীন যারা সুস্থ তাদেরকে সুস্থতার তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) থেকে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে।
আইইডিসিআর এর তথ্য মতে, রবিবার পর্যন্ত মোট ১৮ হাজার ৭৩০ জন সুস্থ হয়েছিল। ওই দিন পর্যন্ত আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার হার ছিল ২১ দশমিক ৪০ শতাংশ। কিন্তু সোমবার একদিনে ১৫ হাজার ২৯৭ জনকে সুস্থ ঘোষণায় করায় মোট সুস্থ হওয়ার সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৪ হাজার ২৭ জনে। এর ফলে আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার হার এক লাফে ৩৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেড়ে যায়।
সুস্থতার সংখ্যা বেশি হওয়ার বিষয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের সোমবারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, হাসপাতালে পাশাপাশি বাড়িতে যারা সুস্থ হয়েছেন তাদের অনুমিত সংখ্যায় পরিসংখ্যানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এর আগে, গত ৩ মে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের সুস্থতার ঘোষণা করতে একদফা প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনা হয়। আগে কেবল আক্রান্তদের পরপর দুই বার পরীক্ষার ফলাফলে নেগেটিভ এলে সুস্থ ঘোষণা করা হতো। এতে করে ৩ মে এর আগে প্রতি ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার সংখ্যা সর্বোচ্চ ১৫ জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এমনকি দিনের পর দিন সুস্থতা সংখ্যা শূণ্য দেখা গেছে। কিন্তু প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনার কারণে ওই দিনই ৮৮৬ জনকে সুস্থ দেখানো হয়। ওই সময় সুস্থতা ঘোষণার নতুন প্রক্রিয়ার বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছিল, কোভিড-১৯ আক্রান্তদের মধ্যে যারা পুরোপুরি সুস্থ হবেন তাদের করোনা পরীক্ষা না করেই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে। তাদের সুস্থ হিসেবেই দেখানো হবে। ‘সুস্থ’ হওয়া ওই ব্যক্তিরা পরবর্তীতে নিজ উদ্যোগে নমুনা পরীক্ষা করে করোনা নেগেটিভ এর বিষয়টি নিশ্চিত হবেন।
সুস্থতার ঘোষণার এই নতুন প্রক্রিয়ার ফলে গত ৩ মে এরপর থেকে প্রতি ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার সংখ্যা তিন অঙ্কে উঠে যায়। ওই সময় প্রতি ২৪ ঘণ্টায় গড়ে ২৫০ জন করে সুস্থ ঘোষণা করা হয়। সম্প্রতি এই সংখ্যা দিনে ৮০০ থেকে ১০০০-এ উন্নীত হয়েছে। সোমবার ঘোষণা করা নতুন প্রক্রিয়ার ফলে প্রতিদিনের সুস্থতার সংখ্যা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।