বিনোদন

অভিনেত্রী আশার মৃত্যুতে শামীমকে অব্যাহতির আবেদন

রাজধানী মিরপুরের টেকনিক্যাল মোড়ে ট্রাকের ধাক্কায় অভিনেত্রী আয়েশা আক্তার আশার মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় একমাত্র আসামি শামীম আহমেদকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ।

সম্প্রতি ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে এ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দারুস সালাম থানার উপ-পরিদর্শক সোহান আহমেদ।

অব্যাহতি আবেদনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, শামীম আহমেদের মোটরসাইকেলের পেছনে বসা আশাকে ধাক্কা দেয়া ট্রাকচালককে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ঘটনার সঙ্গে শামীম জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই তাকে অব্যাহতির আবেদন করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হলো।

আজ মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) দারুস সালাম থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আসাদুজ্জামান আসাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ছয়-সাত বছর ধরে আসামি শামীম আহমেদের সঙ্গে আশার পরিচয় ছিল। সেই সুবাদে তাদের মধ্যে আত্মিক সম্পর্কের সৃষ্টি হয়। প্রায়শই আশাদের বাসায় যাতায়াত করতেন তিনি। আশার পরিবারও তাকে বিশ্বাস ও স্নেহ করত। মাঝে মাঝে অফিস ও অভিনয়ের কাজে আসা-যাওয়ায় সহযোগিতা করতেন শামীম।

মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, গত ৪ জানুয়ারি রাত ১১টার দিকে বনানী অফিস থেকে বের হওয়ার সময় আশা তার বাবাকে ফোন করে বলেন, ‘আমি কিছুক্ষণের মধ্যে বাসায় আসছি।’

এরপর রাত পৌনে ১১টার দিকে পুনরায় ফোন করে তিনি বলেন, বাড়ির কাজের ব্যাপারে ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথা হয়েছে। কাজ নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। আমি শামীম ভাইয়ের সঙ্গে চলে আসব। এ সময় শামীম মোবাইল ফোনে বলেন, আপনার মেয়ে যেভাবে বলে সেভাবে কাজ করেন তাহলে ভালো হবে।

পরে রাত পৌনে ২টার দিকে শামীম ফোন করে জানান, আশা আর নেই। টেকনিক্যাল মোড়ে একটি অজ্ঞাত ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে মৃত্যুবরণ করেছে।

মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, শামীম বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে দুই ট্রাকের মাঝখান দিয়ে দ্রুতগতিতে যাওয়ার সময় সামনের ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে আশা মোটরসাইকেলের পেছন থেকে ছিটকে পড়ে যান। এরপর পেছন থেকে দ্রুতগতিতে আসা একটি অজ্ঞাত ট্রাক তাকে চাপা দিলে মাথায় জখম হয়ে ঘটনাস্থলেই আশা মারা যান।

এ ঘটনায় আয়েশা আক্তার আশার বাবা মো. আবু কালাম বাদী হয়ে দারুস সালাম থানায় একটি মামলা করেন। মামলা নম্বর -৮ (১) ২১।

উল্লেখ্য, আয়েশা আক্তার আশা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) আইন বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারে পড়ছিলেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button