বৃহস্পতিবার থেকে বিধিনিষেধ শিথিল, চলবে গণপরিবহন
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের দেওয়া কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।আগামী বৃহস্পতিবার ( ১৫ জুলাই) থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করা হচ্ছে। এ সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে গণপরিবহন। কোরবানির ঈদে মানুষের চলাচল ও পশুরহাটে বেচাকেনার বিষয় বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ( ১২ জুলাই) বিকেলে মন্ত্রিপরিষধ বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।আজ অথবা আগামীকাল মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সচিবালয়ে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের জানান, ঈদের সময় গরু ব্যবসায়ী, দোকান মালিকদের কথা বিবেচনা করেই সরকার লকডাউনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি পরিস্কার করা হবে।
জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষে শিথিল বিধিনিষেধের আট দিন স্বাস্থ্যবিধি মেনে এক আসন ফাঁকা রেখে চলবে সব গণপরিবহন। খুলে দেওয়া হবে দোকানপাট, শপিং মল। এ সময় সরকারি অফিস ভার্চুয়ালি খোলা থাকলেও বন্ধ থাকবে বেসরকারি অফিস।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসূত্রে জানা গেছে, বিধিনিষেধ বাড়ানোর প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমতি দিয়েছেন। সেই নথি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অনুমোদন হয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে এসেছে। উর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি মিললেই যেকোনো সময় জারি হবে প্রজ্ঞাপন।
বর্ধিত সময় অনুযায়ী ১৫ জুলাই ভোর ছয়টা থেকে ২৩ জুলাই ভোর ছয়টা পর্যন্ত এই আদেশ কার্যকর থাকবে। তবে ঈদের পর আবারও ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধে যাবে দেশ।
উল্লেখ্য, এর আগে, রোজার ঈদে বাসসহ সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ রেখেছিল সরকার। কিন্তু এসব বাধা উপেক্ষা করে ঈদের আগে ঘরমুখী হয় মানুষ। ফেরিঘাটে ঘরমুখী মানুষের ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেয়েছিল সরকার। কর্তৃপক্ষের অনুরোধ তোয়াক্কা না করে বাড়িমুখী হয়েছিল লাখ লাখ মানুষ।গত ১২ মে মাদারীপুরের বাংলাবাজারে দুটি ফেরি থেকে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে ভিড়ের চাপে পাঁচজনের মৃত্যুও হয়। ওই ঘটনায় পদদলিত হয়ে আহত হয় অর্ধশতাধিক। এসব ঘটনা এড়াতেই এবারের ঈদে গণপরিবহন চালু রাখতে চাচ্ছে সরকার। ১ জুলাই থেকে চলমান কঠোর বিধিনিষেধে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কারও বাড়ির বাইরে আসা বারণ। রিকশা ছাড়া বন্ধ সব ধরনের গণপরিবহন। এ অবস্থা চলবে বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত।
মানুষের অযাচিত চলাচল ঠেকাতে বসানো হয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সড়কে পড়তে হচ্ছে পুলিশি তল্লাশির মুখে। বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি মানাতে মাঠে আছে বিজিবি ও সেনাবাহিনী।