স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

হাসপাতালে সাধারণ শয্যাও না পাওয়ার শঙ্কা স্বাস্থ্য অধিদফতরের

দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণে শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা যেভাবে বাড়তে শুরু করেছে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে হাসপাতালে আইসিইউ শয্যাসহ কোনো সাধারণ শয্যাও খালি পাওয়া যাবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

আজ রোববার (১১ জুলাই) অধিদফতরের মুখপাত্র ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ভার্চুয়াল বুলেটিনে এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, গত মাসে সারা দেশে সংক্রমণের হার অনেক বেশি ছিল। জুন মাসে এক লাখ ১২ হাজার ৭১৮ জন রোগী সংক্রমিত হয়েছেন। শুধু জুলাইয়ের প্রথম ১০ দিনে প্রায় এক লাখ রোগীকে সংক্রমিত হতে দেখেছি। আমরা যেভাবে সংক্রমিত হচ্ছি, হাসপাতালে রোগীর চাপ যদি বাড়তেই থাকে আগামী সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে হাসপাতালের শয্যা আর খালি থাকবে না।

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ সময় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৮৭৪ জন। একদিনে করোনায় এত মৃত্যু ও শনাক্ত এর আগে দেখেনি বাংলাদেশ। এ নিয়ে করোনায় দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬ হাজার ৪১৯ জনে। আর মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০ লাখ ২১ হাজার ১৮৯ জনে।

রোবেদ আমিন বলেন, সারা দেশে গত মাসেও অসংখ্য শয্যা খালি ছিল, আইসিইউ বেড খালি ছিল। সেই খালি বেডের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। সারাদেশে মাত্র ৩০০-এর মতো কোভিড-১৯ আইসিইউ বেড খালি আছে।

তিনি আরও বলেন, কোভিড-১৯-এর যে ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন আছে তার মাধ্যমে মৃত্যু শুধু বয়স্ক মানুষের হচ্ছে না, তরুণদেরও হচ্ছে। বিভাগ অনুযায়ী বিভিন্ন স্থানে আমরা দেখেছি, সব জেলাতেই কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়েছে এবং সংক্রমণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছে। সঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে।

মুখপাত্র বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি, জরুরি প্রয়োজন ছাড়াও অনেকে বাইরে বের হচ্ছেন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে যদি আমরা করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি, পরিস্থিতি অত্যন্ত করুণ হয়ে যাবে। আর তাতে করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে সবাইকে বিপদে পড়তে হবে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, শনিবার (১০ জুলাই) ১৮৫, শুক্রবার (৯ জুলাই) ২১২ ও বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) ১৯৯ জনের মৃত্যু হয়। গত ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়ায়। এদিন মৃত্যু হয় ২০১ জনের।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button