রূপগঞ্জে জুস কারখানায়, ভয়াবহ আগুনে নিহত ৪ জন আহত অর্ধশতাধিক
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানায় ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে দুই নারী মৃত্যুসহ অন্তত ৫২ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ডেমড়া, কাঞ্চনসহ ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট কাজ করেছে।
বৃহস্পতিবার সময় বিকাল ৫ টার দিকে, উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত জুস কারখানায় এ আগুনের ঘটনা ঘটে।
শ্রমিকসহ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হাশেম ফুডের সেজান জুস কারখানায় প্রায় সাত হাজার শ্রমিক কর্মচারী কাজ করেন। সাততলা ভবনে থাকা কারখাটির নিচ তলার একটি ফ্লোরের কার্টন থেকে হঠাৎ করে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানা যায়। দ্রুতই ছড়াতে থাকে আগুন। এক পর্যায়ে আগুন পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় কালো ধোয়ায় কারখানাটি অন্ধকার হয়ে যায়। আতঙ্কিত হয়ে শ্রমিকরা জান বাচাঁতে ছুটাছুটি শুরু করে। কেউ কেউ ভবনের ছাদে অবস্থান নেন। আবার অনেকেই ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়তে থাকে। এতে ঘটনাস্থলেই স্বপ্না রানী ও মিনা আক্তার নামের দুই নারী নিহত হন।
নিহত স্বপ্না রানী সিলেট জেলার যতি সরকারের স্ত্রী ও মিনা আক্তার উপজেলার গোলাকান্দাইল নতুন বাজার এলাকার হারুন মিয়ার স্ত্রী।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউএসবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক শাহাদাত হোসেন। এছাড়া গুরুতর আহতদের স্থানীয় ইউএসবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে আহতদের পাঠানো হয়েছে চিকিৎসার জন্য। ঢাকা মেডিকেল চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো ২ জনের মৃত্যু হয়, মোট ৪ জনের মৃত্যু
প্রত্যক্ষদর্শী নিহত স্বপ্না রানীর মেয়ে শ্রমিক বিশাখা রানী বলেন, অনেক শ্রমিক কারখানার ভবনের ভেতরে আটকা রয়েছে। তাদেরকে বের করা না হলে সবাই মারা যাবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আব্দুল আল আরিফিন বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করে যাচ্ছে। তবে, আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আটকা পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে।
আপাতত এটুকুই জানতে পেরেছি শ্রমিকরা বলেন। আরো হতাহতের সম্ভবনা আছে আপনারা আরো তথ্য নিয়ে যান ভিতরে অনেক লোকজন রয়েছে অনেকেই মারা যাবে আপনারা আরো কিছু সময় থাকেন।
শরজমিনে থেকে যা দেখতে পেলাম
আসে পাশের রাস্তাসহ হাজারো মানুষের ভিড় জমা হয় চারি দিকে শুধুই চিৎকার আর আর্তনাদ।