খেলাধুলা

ফাইনালে মুখোমুখি ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা

কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে কলম্বিয়াকে টাইব্রেকারে হারাল আর্জেন্টিনা। এর আগে পেরুকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেয় ব্রাজিল।রবিবার বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় টুর্নামেন্টের ফাইনালে মুখোমুখি হবে ফুটবলের এই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী।

২০০৭ সালে শেষবার কোপা আমেরিকার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। সেবার ব্রাজিল ৩-০ গোলের জয় পায়।

২০১৯ কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালেও ব্রাজিল আর্জেন্টিনাকে ২-০ গোলে হারায়।

দুটি বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা এবং ৫টি বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিলের মধ্যে যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা সেটায় কোপা আমেরিকায় এগিয়ে আর্জেন্টিনা।

এখন পর্যন্ত ১৪ বার দক্ষিণ আমেরিকার সর্বোচ্চ শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা, ৯ বার জিতেছে ব্রাজিল।

তবে টুর্নামেন্ট বা প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে ১০৭ বার মুখোমুখি হয়েছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা, যেখানে ৪৮ বার জয় পেয়েছে ব্রাজিল, ৩৪টি ম্যাচে আর্জেন্টিনা জয় পেয়েছে। ২৫টি ম্যাচ ড্র হয়েছে।

এই দুই প্রতিবেশী দেশ ঐতিহাসিকভাবেই ফুটবলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী।

তবে বাংলাদেশের ফুটবল ভক্তদের একটা বড় অংশই এই দুই দেশের সমর্থক এবং বিশ্বকাপ বা কোপা আমেরিকার মতো আসর চলাকালীন বাংলাদেশের ফুটবল ভক্তদের মধ্যে একটা তুমুল উত্তেজনা কাজ করে।

মেসি ও নেইমার প্রথমবারের মতো কোনো ফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি হবেন এবারের কোপা আমেরিকাতে।

আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি এবং ব্রাজিলের নেইমার বার্সেলোনায় একসাথে খেলেছেন, এই দুজনের সাথে উরুগুয়ের স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজের সমন্বয় বার্সেলোনাকে ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ড লাইন আপের স্বীকৃতি দেয়।

নেইমার বার্সেলোনা ছেড়ে ফ্রান্সের ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ে যোগ দেয়ার পরে লিওনেল মেসি বেশ কবার তার অভাব অনুভব করেন বলে জানান।

বার্সেলোনাও মাঝেমধ্যে নেইমারকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছে। বিভিন্ন সময় সংবাদ মাধ্যমে নেইমারও বলেছেন লিওনেল মেসিকে তিনি বেশ পছন্দ করেন।

পেরুর সাথে ম্যাচে জয়ের পরেও নেইমার বলেন, ‘আর্জেন্টিনায় আমার বেশ কজন বন্ধু আছে। আমি চাই আর্জেন্টিনা ফাইনালে উঠুক।’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button