নোয়াখালীতে পুত্রবধূ হত্যার অভিযোগে মায়ের মামলায় ছেলে গ্রেফতার
মোঃ ফখর উদ্দিন, নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীতে পুত্রবধূ হত্যার অভিযোগে মায়ের মামলায় ছেলে গ্রেফতার
নোয়াখালী সদর উপজেলার উত্তর শুল্লুকিয়া গ্রামে পুত্রবধূ হত্যার অভিযোগে স্বামী ও সৎ ছেলেদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক নারী।
ওই মামলার প্রধান আসামি সৎ ছেলে মো.সোহাগকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।মঙ্গলবার (৬ জুলাই) বিকালে উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নের করমূল্যা বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে সুধারাম থানার পুলিশ।
সুধারাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুন্ননবী জানান, গত ৩ এপ্রিল সৎ ছেলে মো. সোহাগের স্ত্রী মারজাহান বেগমকে হত্যার পর বিষপানে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার অভিযোগ তুলে গত ১৬ জুন নোয়াখালীর আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ নাহিয়ানের আদালতে স্বামী আবদুল খালেক,সৎ ছেলে মো. সোহাগ ও রাজু এবং সৎ মেয়ের স্বামী জামাল উদ্দিনকে আসামি করে মামলা করেন এওজবালিয়া ইউনিয়নের উত্তর শুল্লুকিয়া গ্রামের আবদুল খালেকের স্ত্রী রহিমা বেগম।
ওই মামলায় মো.সোহাগকে গ্রেফতার করা হয়েছে।রহিমা বেগমের দাবি, হত্যার বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিবাদ করায় তাকে দুই মাসের বেশি সময় ঘরে আটকে রাখা হয়। পরে কৌশলে স্বামীর বাড়ি থেকে বের হয়ে তিনি আদালতে মামলাটি করেন।
এজাহারে বলা হয়,স্বামী,দুই সৎ ছেলে এবং সোহাগের স্ত্রী মারজাহান ও তার তিন শিশু সন্তান নিয়ে রহিমার সংসার। হত্যার কয়েক মাস আগে সোহাগের পরকীয়ার সম্পর্ক নিয়ে স্ত্রী মারজাহানের সঙ্গে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। এ নিয়ে মারজাহানকে প্রায়ই শারীরিক নির্যাতনসহ মেরে ফেলার হুমকি দিত সোহাগ।
গত ৩ এপ্রিল দুপুরে পুত্রবধূ মারজাহানকে বাড়িতে রেখে বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান রহিমা। মারজাহান বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন বলে রাত ২টায় দিকে মোবাইল ফোনে তাকে জানান স্বামী আবদুল খালেক। পরদিন সকালে বাড়িতে ফিরে তিনি জানতে পারেন সোহাগের পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় আসামিরা মারজাহানকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন।
আদালতের জ্যেষ্ঠ্য বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে অভিযুক্ত চার আসামির বিরুদ্ধে এফআইআর জারি করতে সুধারাম মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো.সাহেদ উদ্দিন পুত্রবধূ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. সোহাগকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি আরও জানান, বুধবার সকালে গ্রেফতারকৃত আসামিকে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে।