গণবিজ্ঞপ্তি নিয়ে যা বললেন এনটিআরসিএ’র সচিব
চলমান লকডাউন শেষ না হওয়া পর্যন্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ১-১২তম নিবন্ধন্ধারীদের কন্টেম্প মামলা খারিজের পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে ফল প্রকাশের বিষয়ে আলোচনা করে এনটিআরসিএ। মন্ত্রণালয় থেকে একটি লিখিত আবেদন চাওয়া হলেও নতুন করে আপিল বিভাগের দেয়া রায়ের কপি হাতে পাওয়ার ইস্যু সামনে এনেছে এনটিআরসিএ।
এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা বলছেন, আদালতের রায় পাওয়ার পর গণবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশে আর কোনো বাধা নেই। তবে আদালত যে রায় দিয়েছে তার কপি হাতে পাওয়ার আগে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চায় না এনটিআরসিএ। ফলে গণবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশে আরও দেরি হবে।
এনটিআরসিএর সচিব ড. এ টি এম মাহবুব-উল করিম বলেন, আদালত (আপিল বিভাগ) আমাদের পক্ষে রায় (আড়াই হাজার নিবন্ধনধারীকে নিয়োগ দিতে হাইকোর্টের আদেশ বাতিল) দিয়েছে। এ রায় যুগান্তকারী। সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে আশা করছি, ৩-৪ দিনের মধ্যে রায়ের সার্টিফাইড কপি হাতে পাব। কপি হাতে পাওয়ার পরই ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ৫৪ হাজার নিয়োগের ফল প্রকাশ করা হবে।
তিনি জানান, ফল প্রকাশের জন্য আনুষাঙ্গিক সব ধরনের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
এই গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ প্রত্যাশী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি শান্ত আহমেদ বলেন, ফল প্রকাশ নিয়ে এনটিআরসিএ যে তালবাহানা শুরু করেছে তা মানা যায় না। আমরা যেকোনো উপায়ে দ্রুত ফল প্রকাশ করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের হস্তক্ষেপ চাই। করোনার এই সময়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে উচ্চশিক্ষিত বেকাররা। একদিকে কোনো নিয়োগ পরীক্ষা নেই, অন্যদিকে চাকরির বয়সও শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমরা এক গভীর সংকটের মধ্যে আছি। পরিবারের সবাই এই নিয়োগের ফলের আশায় অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
এদিকে আড়াই হাজার শিক্ষক নিয়োগ প্রত্যাশীদের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর বিচার-বিশ্লেষণ করে পরবর্তী পদক্ষেপ (রিভিউ) নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।