নন্দীগ্রামে মহাসড়কে মরণফাঁদে ট্রাক উল্টে মহা যানজট।
বগুড়ার নন্দীগ্রামে মহাসড়কে মরণফাঁদে ট্রাক উল্টে মহাযানজট সৃষ্টি হয়েছে। বগুড়া-নাটোর মহাসড়ক দিয়ে উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলসহ সারাদেশের বিভিন্ন ধরণের যানবাহন চলাচল করে থাকে।
এমনকি ধারণ ক্ষমতার বেশিও যানবাহন চলাচল করে। এ কারণে নন্দীগ্রাম উপজেলার রণবাঘা বাসস্ট্যান্ডের উত্তরপার্শ্বে মহাসড়কের কার্পেটিং উপড়ে ২ ফুট গর্ত সৃষ্টি হয়। সে গর্তে কাদা-পানি জমে থাকে। এ কারণে কি পরিমাণ গর্ত রয়েছে তা বোঝার উপায় নেই।
তাই মাঝে মধ্যেই সেখানে ট্রাক উল্টে যায়। এতে বন্ধ হয়ে যায় মহাসড়কে যানবাহন চলাচল। ১৩ জুন বিকেল আনুমানিক ৫ টায় উল্লেখিত স্থানে মহাসড়কের গর্তে ১ টি পণ্যবাহী ট্রাক উল্টে পড়ে যায়।
এরপর থেকে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে মহাযানজট সৃষ্টি হয়। প্রায় ১০ কিলোমিটার মহাসড়কে বিভিন্ন ধরণের যানবাহণ আটকে যায়।
১৪ জুন দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ছিল এ যানজট। মহাসড়ক যানজট মুক্ত করতে নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ শওকত কবিরের নির্দেশনায় পুলিশ মহাসড়কে দায়িত্বপালন করে। রণবাঘা বাসস্ট্যান্ড থেকে ভিতর বাজার হয়ে শহরকুড়ি মোড় পর্যন্ত রাস্তা বিকল্পভাবে রাস্তা ব্যবহার করায় কিছুটা যানজট কমে যায়।
এ রাস্তা দিয়ে বড় ধরণের যানবাহন চলাচল করায় ১টি বাড়ির বৈদ্যতিক সংযোগ বিছিন্ন হয়ে যায়। রণবাঘা বাজারের ব্যবসায়ী আসলাম হোসেন ফকির জানিয়েছে, ১৩ জুন বিকেল আনুমানিক ৫ টায় ১টি পণ্যবাহী ট্রাক উল্টে যাবার কারণে বড় ধরণের যানজট সৃষ্টি হয়।
এছাড়াও মহাসড়কের ওই গর্তে এবারের বর্ষাকালিন সময়ে অন্তত ২০ টি ট্রাক উল্টে দুর্ঘটনায় কবলিত হয়েছে। মহাসড়কের উল্লেখিত স্থান দ্রুত সংষ্কার করা প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামানের সাথে ফোনে কথা বললে তিনি বলেন, মহাসড়কের উল্লেখিত স্থান সংষ্কার করার জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরপরেও বিষয়টি আমি গুরুত্বের সাথে দেখছি।