বাঁশখালীতে লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর নজরদারীতে উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহীনি ও পুলিশ
এনামুল হক রাশেদী, বাঁশখালী উপজেলা প্রতিনিধি-(চট্টগ্রাম)
বাঁশখালীতে লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর নজরদারীতে উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহীনি ও পুলিশ
কোভিড-১৯ এর ২য় ঢেউ মোকাবেলায় সরকার সারাদেশে একযোগে প্রাথমিক পর্যায়ে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষনার পর থেকে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলায় উপজেলা নির্বাহি অফিসার সাইদুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে সেনাবাহীনি ও পুলিশ প্রতিদিন সারাক্ষন তৎপর রয়েছে লকডাউন কার্যকর ও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে জনগনকে সচেতন করতে।
৩ জুলাই’২১ ইং শনিবার উপজেলা নির্বাহি অফিসার সাইদুজ্জামান চৌধুরী বাঁশখালীর প্রধান সড়কের বিভিন্ন ইউনিয়নে অভিযান পরিচালনা করে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে লকডাউন চলাকালীন বিধি ভঙ্গের অপরাধে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ,নিয়ন্ত্রন ও নির্মুল) আইন-২০১৮ এর আওতায় ১৫ টি মামলা দায়ের করে ৬,০৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
লকডাউনের ১ম দিন ১ জুলাই বৃহস্পতিবার ৩৬ টি মামলা দায়ের করে ১২,১০০ টাকা এবং ২য় দিন শুক্রূবার ২৫ টি মামলা দায়ের করে ১৩,২০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। লকডাউন র্যকরের ৩য় দিনে সর্বমোট ৭৬ টি মামলা দায়ের করে ৩১,৩৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। বাঁশখালী প্রধান সড়কের উপজেলা সদর, মিয়াবাজার, টাইম বাজার, চাম্বল, নাপোড়া, চেচুরিয়া, গুনাগরি, রামদাশ মুন্সির হাট সহ বাঁশখালীর বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান পরিচালনা করে বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো, মাস্ক ছাড়া রাস্তায় চলাচল, রাস্তায় সিএনজি ও বাইক নিয়ে বের হওয়া, সরকারের নির্দেশ অমান্য করে দোকান খোলে ব্যবসা পরিচালনা করা ইত্যাদি অপরাধে মামলা করার মাধ্যমে এ জরিমানা আদায় করা হয়। এসময় উপজেলা নির্বাহি অফিসারের সাথে ছিলেন, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসারের সদস্যরা।
কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নের ৩য় দিনে মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের অংশ হিসাবে উপজেলার খানখানাবাদ ও চাম্বল ইউনিয়নের ভূক্তভোগী মানুষদের মাঝে প্রতি পরিবারে ১,০০০ টাকা করে ৭০০ পরিবারকে ৭০,০০০ টাকা মানবিক সাহায্য বিতরন করেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার সাইদুজ্জামান চৌধুরী।
উপজেলা নির্বাহি অফিসার সাইদুজ্জামান চৌধুরী জানান, কোভিড-১৯ সংক্রমন এখন সমগ্র জাতীর জন্য এক মহা সংকট। এ সংকট উত্তরন ঘঠিয়ে জাতীকে নিরাপদে রাখতে হলে যত কষ্ট এবং অসুবিধাই হউকনা কেন সাময়ীক অসুবিধা হলেও জাতীর বুহৎ স্বার্থে, সবাইকে অবশ্যই সরকারের বিধি নিষেধ মেনে চলার কোন বিকল্প নেই।
কঠোর লকডাউন চলাকালীন যারা বিধি ভঙ্গ ও আইন অমান্য করে বাইরে ঘুরাফেরা করবেন , দোকান পাট খুলে অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করবেন তাদের ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন কঠোর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
তিনি সংকট মোকাবেলায় বাঁশখালী উপজেলার বিভিন্ন পেশাজীবি শ্রেনি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, স্থানিয় প্রশাসন ও সচেতন নাগরিকদের সক্রিয় সহযোগিতা কামনা করেন