লকডাউনের প্রভাব কাঁচাবাজারে,বেড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেশে চলছে সাতদিনের ‘বিধি-নিষেধ’ বা ‘কঠোর লকডাউন’। দ্বিতীয় দিনের লকডাউনে প্রভাব পড়েছে কাঁচাবাজারে। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে মুরগি ও পেঁয়াজের। আর দাম কমেছে সবজির।
অপরদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে অন্য পণ্যের দাম। সবজি বিক্রেতারা বলছেন, লকডাউনের কারণে বাজারে ক্রেতা কম আশায় সবজির দাম কমে গেছে। অন্যদিকে মুরগি বিক্রেতারা বলছেন, খামারিরা সিন্ডিকেট করে। তাই ‘কঠোর লকডাউনে’ ক্রেতাদের অতিরিক্ত কেনাকাটায় বেড়েছে মুরগির দাম।
আজ শুক্রবার (২ জুলাই) সকালে রাজধানীর মিরপুরের মুসলিম বাজার, মিরপুর ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশি বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
বাজারে বেশিরভাগ সবজির কেজিতে দাম কমেছে ৫ টাকা থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। এসব বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা। চাল কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমরার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ টাকা, কচুর মুখি ৫০ টাকা।
এ সব বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজি। পেঁয়াজের দাম ৫ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। কাঁচামরিচের কেজি ৪০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। পেঁপে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। শসার দাম ৪০ টাকা। কাকরোল প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকায়।
মিরপুর ১১ নম্বর বাজারে সবজি বিক্রেতা আলামিন বলেন, লকডাউনের আগে সবজির দাম বেড়েছিল। কিন্তু লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে সকালে বৃষ্টি হওয়া ও বাজারে ক্রেতা কম আশায় সবজির দাম কমেছে।
এছাড়াও শুকনা মরিচ প্রতিকেজি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, রসুনের কেজি ৮০ থেকে ১৩০ টাকা, আদার দাম ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। হলুদ ১৬০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চিনি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা। এছাড়াও প্যাকেটকৃত চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৮ থেকে ৮০ টাকায়।
বাজারে প্রতিকেজি বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, মিনিকেট ৬০ থেকে ৬২ টাকা, নাজিরশাইল ৬২ থেকে ৬৫ টাকা, মোটা চাল ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা, পোলাওয়ের চাল ৯০ থেকে ১০০ টাকা।
আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে লাল (লেয়ার মুরগি) বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ১০৫ থেকে ১১০ টাকা। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে এখন ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। সোনালি (কক) মুরগির ডিমের ডজন ১৫০ টাকা।
বাজারে প্রতিকেজি সোনালি (কক) মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকায়। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি ১৩০ টাকায় বিক্রি হলেও ২০ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা। লেয়ার মুরগি প্রতিকেজি ২৫০ টাকা।
মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. রুবেল বলেন, পোল্ট্রি ফার্মের খামারিরা সিন্ডিকেট করে বাজারে মুরগির দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। এছাড়াও লকডাউনের আগে ক্রেতাদের অতিরিক্ত কেনাকাটায় বেড়েছে মুরগির দাম।
এসব বাজারে অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংস, মসলাসহ অন্যান্য পণ্যের দাম। বাজারে প্রতিকেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, বকরির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা।