জাতীয়

টিকা নিতে প্রবাসীদের দুদফা নিবন্ধন লাগবে

বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকদের ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রবাসীকর্মীদের দুই দফা নিবন্ধন করতে হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

এরই মধ্যে জনশক্তি উন্নয়ন ব্যুরোর মাধ্যমে দুই লাখ অভিবাসীর তালিকা পাওয়ার তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। আগামী রোববারের মধ্যে সেই তালিকা যাচাই করা শেষ হবে। সোমবার রাত থেকে এসএমএস (ক্ষুদে বার্তা) যাবে এবং মঙ্গলবার থেকে তারা টিকা নিতে পারবেন।

এসব তথ্য না থাকায় অনেকে কেন্দ্রে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

আজ বৃহস্পতিবার (০১ জুলাই) দুপুরে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) পরিচালক এবং জাতীয় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পরিকল্পনার সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক এসব তথ্য জানান।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের এই কর্মকর্তা বলেন, বিদেশে কাজ করতে যাওয়া প্রবাসীদের ভ্যাকসিন নিতে গেলে অবশ্যই জনশক্তি উন্নয়ন ব্যুরোর মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে তারপর ভ্যাকসিন কার্যক্রমে আসতে হবে। জনশক্তি উন্নয়ন ব্যুরো প্রবাসীকর্মীদের জন্য একটি অ্যাপ তৈরি করেছে। অ্যাপের পাশাপাশি প্রতিটি জেলায় জনশক্তি উন্নয়ন ব্যুরোর অফিস থেকে অভিবাসীরা রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। সেই তালিকা স্বাস্থ্য অধিদফতরে এলে আমরা পরবর্তী যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করব।

শামসুল হক আরও বলেন, জনশক্তি উন্নয়ন ব্যুরো রেজিস্ট্রেশন করার পর প্রবাসী কর্মীকে আবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে ভ্যাকসিন নিতে হবে। সুরক্ষা অ্যাপ থেকে পাওয়া ভ্যাকসিন কার্ড ছাড়া কেন্দ্রে গেলে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না। প্রতিটি জেলার জনশক্তি উন্নয়ন ব্যুরোর অফিস সপ্তাহের অন্যদিনের মতো শুক্রবার ও শনিবার খোলা থাকবে। সেখানে গিয়ে বা অ্যাপের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে বলা হয়, প্রবাসী শ্রমিক যারা ফাইরাজের টিকা ছাড়া বিদেশে যেতে পারছেন না, এই মুহূর্তে শুধু তারা রাজধানীর সাতটি কেন্দ্র থেকে এই টিকা নিতে পারবেন। এজন্য জনশক্তি উন্নয়ন ব্যুরো থেকে তালিকা স্বাস্থ্য অধিদফতরে দেওয়া হবে।

যে সাতটি কেন্দ্রে প্রবাসীদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে সেগুলো হচ্ছে- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এবং শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল কেন্দ্র।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button