সেনাসহ মাঠে তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা
করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আজ থেকে মাঠে রয়েছেন সেনাসদস্যরা। বুধবার (৩০ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সশস্ত্র বাহিনীকে মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। একইভাবে সরকারের বিধিনিষেধ কঠোরভাবে বাস্তবায়নে পুলিশের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন আইজিপি। বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে মাঠে রয়েছে পুলিশ, র্যাব, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও কোস্ট গার্ড।
মন্ত্রিপরিষদ থেকে জারি করা বিধিনিষেধে বলা হয়েছে, খুবই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। আর এ নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কঠোরভাবে এসব বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে পুলিশের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোকেও মাঠে নামানো হয়েছে।
সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন থাকবে। তারা কিভাবে দায়িত্ব পালনের করবে সেটা আজই বোঝা যাবে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) থেকে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে শুধু বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে সার্বিক কার্যাবলী ও চলাচলে বিধি-নিষেধ কার্যকর করার জন্য ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ এর আওতায় ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনীকে মোতায়েন রাখা হবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্থানীয়ভাবে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করবেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিধি-নিষেধ চলাকালীন সরকারি, আধা সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। ‘আর্মি ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ বিধানের আওতায় মাঠ পর্যায়ের কার্যকর টহল নিশ্চিত করার জন্য সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ প্রয়োজনীয় সংখ্যক সেনা মোতায়েন করবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্থানীয় সেনা কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। জেলা পর্যায়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে সমন্বয় সভা করে সেনা-বিজিবি-পুলিশ-র্যাব ও আনসার নিয়োগ এবং টহলের অধিক্ষেত্র, পদ্ধতি ও সময় নির্ধারণ করবেন। সেই সঙ্গে বিশেষ কোনও কার্যক্রমের প্রয়োজন হলে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো এই বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবে।