রূপগঞ্জে কিশোর গ্যাংয়ের দল সংখ্যা বাড়ছে
রূপগঞ্জ বাড়ছে কিশোর গ্যাং, দলগত ভাবে চলাফেরা
বিভিন্ন রাস্তার পাশে অথবা মোড়ে মোড়ে তাদের বিচরণ। এক পর্যায়ে লোকজনকে মারধর, চুরি-ছিনতাই, মাদক ব্যবসায় লিপ্ত হচ্ছে। প্রতিবাদকারীকে দলগতভাবে হেনস্থা। একসঙ্গে আড্ডা, রাস্তায় নারী উত্ত্যক্ত, মাদক সেবনসহ মানুষকে হয়রানী করছে। কিশোর গ্যাং সদস্যদের পিতা অথবা তাদের ভাই অথবা তারা নিজেরাই বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে জড়িত।
এছাড়া তাদের পেছনে আছেন ‘বড় ভাই’। রূপগঞ্জ উপজেলা ৭টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে সব চেয়ে অপরাধ প্রবন এলাকা হচ্ছে কায়েতপাড়া ,চনপাড়া, ভুলতা গাউছিয়া, রূপসী বাসস্ট্যান্ড, মুড়াপাড়া,কাঞ্চন।এসব এলাকায় কতটি কিশোর দল বা অপরাধ চক্র আছে তার সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই থানা পুলিশের কাছে। একমাসের বেশী সময় ধরে স্থানীয় বাসিন্দা ও কয়েকটি সংস্থার সাথে কথা বলে ৩০টির বেশী কিশোর গ্যাং এর সন্ধান পাওয়া গেছে।
একেকটি দলে ১০ থেকে ১২ জন সদস্য রয়েছে। কিছু কিছু দলে আরও বেশী সদস্য রয়েছে। বিভিন্ন মার্কেটে তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বা দলের নেতার নামে অফিস নিয়ে প্রকাশ্যে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা মাদক সেবন করে যাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, প্রতিটি কিশোর দল বা বাহিনীর পেছনে আছেন এলাকার একশ্রেনীর ‘বড় ভাই’। তারা কোন না কোন ভাবে স্থানীয় রাজনীতিতে জড়িত। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, মানুষকে হয়রানী, জমি দখল, মারধর বা রাজনৈতিক মিছিলে এদেরকে ব্যবহার করে “বড় ভাই” নামক অদৃশ্য শক্তি। বি এনপির কিছু দুষ্টু প্রকৃতির দানবেরা কিশোর গ্যাং তৈরি করছে রাজনৈতিক নেতাদের ছত্র ছায়ায় থেকে।
গন্ধর্বপুরের এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই প্রতিবেদককে জানান, রূপসী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একাধিক কিশোর গ্যাং রয়েছে। রূপসী টু কাঞ্চন সড়কে মাঝে মাঝে রাতে ছিনতাইয়ের খবর পাওয়া যায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তারা রাজনৈতিক নেতাদের শেল্টারে মাদক বিক্রি, মাদক সেবন , চুরি ,ছিনতাই এর মতো অপরাধে লিপ্ত হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের আগে এমন কিশোর গ্যাাং ছিলো না।
গোলাকান্দাইল ,ভুলতা, বরপা, মাসাব,মুড়াপাড়া,চনপাড়ার একাধিক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই প্রতিবেদককে জানান অপরাধ প্রবণতাও অন্য যেকোন এলাকার চেয়ে আমাদের এলাকায় বেশী। অপরাধের সঙ্গে জড়িতরা কোন না কোন বড় ভাইদের মদদ পুষ্ট। তাদের আশ্রয় প্রশ্রয়ই তারা বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
তারা আরও বলেন, নেতা, দল, এসব বড় ভাই বা তাদের প্রশ্রয় বন্ধ করতে না পারলে এবং আইনের সঠিক প্রয়োগ না হলে এসব অপরাধী চক্রকে নিয়ন্ত্রন করা যাবেনা।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, রূপগঞ্জে কতটা কিশোর গ্যাং আছে তার তালিকা আমার জানা নেই। যেখানে কিশোর গ্যাং আছে কেউ অভিযোগ দিলে অবশ্যই কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।