কওমি মাদরাসা নজরদারিতে আসছে নীতিমালা
দেশের কওমি মাদরাসাগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়নের জন্য ১৫ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সরকারি নিয়ন্ত্রণে আসতে যাচ্ছে দেশের সব কওমি মাদরাসা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের এক অফিস আদেশে ১৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। এতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমানকে আহ্বায়ক এবং বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের পরিদর্শক মো. আব্দুস সেলিমকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। কমিটিকে দেশের কওমি মাদরাসাগুলোকে সরকারি নিবন্ধনের আওতায় আনতে নীতিমালা প্রণয়নের আদেশ দেয় মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব সৈয়দ আসগর আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কওমি মাদরাসাসহ ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য যুগোপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা কার্যকর করতে এবং সরকারিভাবে নিবন্ধনের আওতায় আনার লক্ষ্যে সমন্বিত একটি খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। এছাড়া কওমি মাদরাসা পরিচালনায় যুক্ত ছয় বোর্ডকে সমন্বয় করে একটি কওমি শিক্ষা বোর্ড গঠনের প্রস্তাব প্রস্তুত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১৫ সদস্যের ওই কমিটিতে মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি, জননিরাপত্তা বিষয়ক বিভাগের একজন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে রাখা হয়েছে।
এছাড়া কওমি মাদরাসার ছয় বোর্ডের চেয়ারম্যানকেও পদাধিকার বলে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তারা হলেন- বেফাক সভাপতি আল্লামা মাহমুদুল হাসান, গওহরডাঙ্গা বোর্ডের মুফতি রুহুল আমীন, আঞ্জুমানে ইত্তিহাদ বোর্ডের মাওলানা আবদুল হালিম বোখারি, সিলেটের আযাদ দ্বীনি বোর্ডের মাওলানা জিয়াউদ্দিন, তানযীমুল মাদারিসের মুফতি আরশাদ রহমানী এবং জাতীয় দ্বীনি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের সভাপতি মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ।