এনআইডি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু
নির্বাচন কমিশনের আপত্তি আমলে না নিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানিয়েছে এক মাসের মধ্যেই শেষ হবে দাপ্তরিক প্রস্তুতি। তবে ইসি সচিব বলছেন, এ বিষয়ে কমিশনের সভায় আলোচনা করা হবে।
জাতীয় পরিচয় পত্র নিয়ে টানাপোড়েন চলছে গত কয়েকদিন ধরেই। নির্বাচন কমিশন থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এনআইডি হস্তান্তরের কথা বললেও নেতিবাচক মনোভাব দেখায় ইসি। এনআইডি ইসিতে রাখার পক্ষে সাতটি যুক্তি তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদে চিঠিও দেয় নির্বাচন কমিশন। সেই চিঠি আমালে না নিয়েই আবারও সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেয় মন্ত্রিপরিষদ।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগে এনআইডি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব শফিউল আলম বলেন, সরকার তো ডাইরেকশন দিয়েই দিয়েছে। যার যার কাজ করবে এখন। সুরক্ষা সেবা তাদের কাজ করছে। অ্যালোকেশন চেঞ্জ করার যে প্রক্রিয়া আছে, এগুলো করছে।
প্রস্তুতির প্রথম ধাপ হিসেবে, সুরক্ষা বিভাগের কার্যবিধিতে জাতীয় পরিচয় পত্র সেবা অন্তর্ভুক্ত করার কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, রুলস অব বিজনেস (কার্যবিধি) শিডিউল ওয়ানে যে কাজগুলো আছে, ওইটা তো আগে ওখানে আনতে হবে। প্রশাসনিক সংক্রান্ত সচিভ কিমিটিতে আনতে হবে। তার আগে এটা ইন্টার মিনিস্ট্রি (আন্ত:মন্ত্রণালয়) মিটিং লাগবে। মন্ত্রীর অনুমোদন লাগবে।
যদিও এ বিষয়ে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য জানায়নি নির্বাচন কমিশন। ইসি সচিব বলছেন, কমিশন সভায় বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে।
ইসি সচিব হুমায়ুন কবির খোন্দকার বলেন, এ বিষয়ে আমার সাথে কোনো কথা হয়নি। আপনারা জানেন, আমাদের যে কমিশন আছে সেখানে আমরা এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
মন্ত্রিপরিষদের মতে, দাপ্তরিক কাজ শেষ করতে সময় লাগবে ১ মাসের মত। এরপরই শুরু হয়ে যাবে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া। তবে ইসি কর্মকর্তারা বলেছেন, হস্তান্তর সম্পন্ন হতে সর্বনিম্ন সময় লাগবে এক বছরের মত।