চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির সকল কার্যক্রমে আদালতের স্থগিতাদেশ
এনামুল হক রাশেদী, বাঁশখালী উপজেলা প্রতিনিধি-(চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির সকল কার্যক্রমে আদালতের স্থগিতাদেশ
চট্টগ্রামের আগ্রাবাদস্থ “মা ও শিশু হাসপাতাল” পরিচালনা পর্ষদের ১৯ জুন’২১ ইং ৪০তম সাধারণ সভার উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পরিচয় দানকারী এসএম মোর্শেদ হোসেন কে উক্ত পরিচয়ে কোন রকম কার্য পরিচালনা না করতেও নির্দেশ প্রদান করেছেন আদালত।
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের আজীবন সদস্য মোঃ সাজ্জাদ আলী ও আনোয়ারুল হক বাদী হয়ে ৪০তম সাধারণ সভার কার্যক্রম স্থগিতসহ কমিটির ২৫ জনকে বিবাদী করে এবং তাদের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে একটি মামলা (মামলা নং ৪৪৮/২০২১) দায়ের করেন।
ওইদিন আদালত তা আমলে নিয়ে ৪০তম সাধারণ সভা ও হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচয় দানকারী এসএম মোর্শেদ হোসেনকে এই পরিচয়ে কোন ধরনের কার্য পরিচালনা করতে পারবে না মর্মে গত ১৬ জুন বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের সিনিয়র সহকারী ২য় জজ আদালত এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট সেলিম উদ্দিন।
একই সাথে কার্যকরী কমিটির সভাপতি কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত না হওয়ার পরও সহ-সভাপতি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসাবে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছেন যা সম্পূর্ন বেআইনী ও এখতিয়ার বর্হিভূত। এসব বিষয় আদালতে উপস্থাপন করলে আদালত এই রায় দেন।
আদালত গুরুত্ব বিবেচনা করে ১৯ জুন ২১ ইং তার পরবর্তি কোন তারিখে সাধারণ সভা পরিচালনা কিংবা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পরিচয়ে এসএম মোর্শেদ হোসেনকে কোন প্রকার কার্য পরিচালনা না করার বিষয়ে আদালত আদেশ দেন বলেও জানান এই আইনজীবী।
প্রতি তিন বছর পর পর নির্বাচনের মাধ্যমে হাসপাতালের কার্যকরী কমিটি গঠিত হয়। সেই হিসাবে ২০১৭-২০ ইং কমিটির ৩ বছরের মেয়াদ শেষ হয় ২০২০ সালের ৩০শে জুন। মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও নিজেকে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পরিচয় দিয়ে বেআইনি ভাবে কমিটির একাংশ কে নিয়ে এসএম মোর্শেদ হোসেন বহাল তবিয়তে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এই নিয়ে হাসপাতালের পরিচালনা পরিষদের সদস্যসহ ইসি মেম্বারের ভিতরেও চলছে নানান গুঞ্জন।
জনগণ ও সরকারের অর্থে পরিচালিত চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল। পরিচালনা পরিষদের সভাপতি কর্তৃক ক্ষমতা হস্তান্তরে কোন প্রকার বৈধ ও দাললিক প্রমাণ ছাড়া এতবড় বিশাল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির গুরু দায়িত্ব পালনে মরিয়া সহ -সভাপতি এসএম মোর্শেদ হোসেন। সহ-সভাপতি থেকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্বে পালনে ক্ষমতা অর্পণের হাসপাতাল প্রশাসন কর্তৃক নেই কোন রেকর্ড। তার পরও কি ভাবে তিনি এত বড় দায়িত্ব পালন করছিল, সে বিষয়ে হাসপাতালের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রফেসর ডাঃ তাহের খাঁন থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত বছরের করোনা কালিন সময়ে আমি অসুস্থ ছিলাম, তাই ভার্চুয়ালী মিটিং করার জন্য আমি নির্দেশ প্রদান করি, এসময় পরিচালনা পরিষদের সদস্যরা ভার্চুয়ালী মিটিং করতে অপারগতা প্রকাশ করলে সহ-সভাপতি এসএম মোর্শেদ হোসেন কে আমি মৌখিক ভাবে বলেছিলাম হাসপাতালের নিয়োমিত মিটিং গুলো পরিচালনা করতে।
খোদ তিনি নিজেই স্বিকার করেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে লিখিত ভাবে কিংবা পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কোন প্রকার অনুমতি দেওয়া হয়নি। যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়া দায়িত্ব হস্তানান্তর করা যায় কিনা জানতে চাইলে তিনি তা এড়িয়ে জান।