হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন এরিকসেন
কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের শিকার হওয়া ডেনমার্কের মিডফিল্ডার ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনের শরীরে ‘হার্ট স্টার্টার’ বসানোর অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। অস্ত্রোপচার শেষে হাসপাতাল ছেড়েছেন এ ড্যানিশ তারকা।
এক বিবৃতিতে এ খবর নিজেই জানিয়েছেন এরিকসেন। হাসপাতাল ছাড়ার পর এরই মধ্যে সতীর্থদের সঙ্গেও দেখা করেছেন তিনি।
বিবৃতিতে এরিকসেন বলেন, ‘অনেক অনেক শুভেচ্ছা বার্তার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। অস্ত্রোপচার ভালোভাবে হয়েছে এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে আমি ভালো আছি। সতীর্থদের সঙ্গে আবারও দেখা হওয়াটা দারুণ। গত রাতে তারা দুর্দান্ত একটি ম্যাচ খেলেছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, সোমবার রাশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচেও আমি তাদের উৎসাহ দেব।’
এরিকসেনের শরীরে ইমপ্ল্যান্টেবল কার্ডিওভার্টার ডেফিব্রিলেটর (আইসিডি) বসানো হয়েছে। এটি পেসমেকারের মতো একটি ছোট ইলেকট্রোনিক ডিভাইস, যা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট প্রতিরোধ করে হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখার কাজ করে।
গত শনিবার রাতে ইউরোয় ডেনমার্ক-ফিনল্যান্ড ম্যাচে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মাঠে পড়ে যান এরিকসেন। ওইদিন ম্যাচের ৪০ মিনিটে হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ফলে মুখ থুবড়ে মাঠে পড়ে যান ইন্টার মিলান ও ডেনমার্কের তারকা ফুটবলার এরিকসেন। তড়িঘড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয় খেলা। মাঠে ডাকা হয় চিকিৎসকদের। দ্রুত শুরু হয় হৃদস্পন্দন চালু করার কাজ। যা চিকিৎসার পরিভাষায় ‘কার্ডিও পালমোনারি রিসাসিটেশন’ বা ‘সিপিআর’ হিসেবে পরিচিত। সে সময় এরিকসেনকে আড়াল করে রাখেন ডেনমার্কের খেলোয়াড়েরা। পরে স্ট্রেচারে করে তারকা মিডফিল্ডারকে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন দেখা যায়, জ্ঞান ফিরেছে তার। তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাসপাতাল থেকেই একদিন আগে নিজের অবস্থার কথা জানান এরিকসেন। জানান এখন ভালো আছেন তিনি। ডেনিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন টুইটারে এরিকসেনের ছবি পোস্ট করে তার বার্তা লেখা হয়। সেখানে হাসিমুখে দেখা যায় এরিকসেনকে। সঙ্গে লেখা, ‘হ্যালো সবাই কেমন আছেন। পৃথিবীর নানা জায়গা থেকে আসা শুভেচ্ছাবার্তার জন্য সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। আমি এবং আমার পরিবারের কাছে এটা অনেক কিছু। এই পরিস্থিতিতে আমি ভালো আছি। হাসপাতালে এখনো কিছু পরীক্ষা করাতে হবে, কিন্তু ভালো আছি।