ধামরাইয়ে স্কুল শিক্ষিকা সহ দুই গৃহ বধূর মরদেহ উদ্ধার
রনজিত কুমার পাল (বাবু) স্টাফ রিপোর্টারঃ
ধামরাইয়ে স্কুল শিক্ষিকা সহ দুই গৃহ বধূর মরদেহ উদ্ধার
ঢাকার ধামরাইয়ে একই দিনে পৃথক স্হানে দুই গৃহ বধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে ধামরাই থানা পুলিশ।
এ’নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (১৪ই জুন-২০২১) ধামরাই থানা পুলিশ ধামরাই পৌরসভার কাগুজিয়া পাড়া মহল্লায় নুর নাহার (৩২) ও আমতা ইউনিয়নের জোয়ার আমতা গ্রামের আলেয়া বেগমের মরদেহ উদ্ধার করেছে।
জানা গেছে, ধামরাই পৌরসভার কুমড়াইল বেজিরটেক এলাকার নুর হাসানের মেয়ে নুর নাহার গলায় ফাঁস দিয়ে ও আমতা ইউনিয়নের জোয়ার আমতা গ্রামের আলেয়া বেগম গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে মৃত্যুবরন করেছেন। তবে তাদের মৃত্যু নিয়ে রহস্য রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র সন্দেহ করেছেন।
নিহত নুর নাহার এর স্বামী খোকন ও দেবর রাসেল পলাতক রয়েছেন। নুর নাহার দুই কন্যা সন্তানের জননী।নিহত নুর নাহার পেশায় স্কুল শিক্ষিকা ছিলেন তিনি কুমড়াইল এলাকার ধামরাই মনিং ভিউ স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকা।
স্হানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নুর নাহার এর সাথে তার স্বামী খোকনের প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত।
খোকনের আরেকটি বিয়ে করেছে এর পর থেকে মূলত পরক্রিয়ার কারণে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত প্রতিনিয়ত।
অপরদিকে উপজেলার আমতা ইউনিয়নের জোয়ার আমতা গ্রামে সোমবার (১৪জুন) সকালে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে আলেয়া বেগম নামে এক গৃহবধূ আত্নহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। আলেয়া বেগমের বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার দড়গ্রাম এলাকার মেয়ে।
এ’ঘটনায় নিহত আলেয়া বেগমের স্বামী আলমগীর হোসেন পলাতক রয়েছে। আলমগীর হোসেন আমতা ইউনিয়নের জোয়ার আমতা গ্রামের হানিফ আলীর ছেলে।
দুই গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে রহস্য রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র সন্দেহ পোষন করে দুটি মৃত্যুকে রহস্য জনক ভাবছে সবাই। তবে হত্যা নাকি আত্মহত্যা সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি।
এ’বিষয়ে ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) শ্রী নির্মল কুমার দাস বলেন নিহত নুর নাহার এর গলায় ও কপালে দাগ রয়েছে।ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকায় হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট আসার পর সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে। দুটি নিহত গৃহবধূর স্বামী পলাতক রয়েছে। সেই সাথে নুর নাহার এর দেবরও পলাতক রয়েছে।