দোয়ারায় যুবক হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৪
দোয়ারাবাজার উপজেলায় নূর আলম (১৮) হত্যার ঘটনায় পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। শনিবার সকালে সিলেট থেকে গোলফর আলীর পুত্র কামরুল ইসলাম (২১), এবং উপজেলার জিরারগাঁও থেকে আব্দুস ছাত্তারের পুত্র সুজন মিয়া (৪০), মমশর আলীর পুত্র উমর গনি ও ওসমান কে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এছাড়াও জহিরুল ইসলাম (২৭) এবং সুজন মিয়া স্ত্রী রুবিনা বেগম (২২) কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজির আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কাঠের রুল দিয়ে বাড়ি দিয়ে ও শ^াসরুদ্ধ করে নূর আলম কে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আটককৃত কামরুল ইসলাম সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। ছাতক থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে সিলেট থেকে আটক করা হয়। অন্য তিনজনকে জিরারগাঁও থেকে আটক করা হয়।
প্রসঙ্গত, দোয়ারাবাজার উপজেলার পশ্চিম বাংলাবাজারে নুর আলমের পরিবারের রেস্তোরাঁ ব্যবসা রয়েছে। নুর আলমই সেটি দেখাশোনা করতেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে তিনি দোকানেই ছিলেন। রাত ১১টার দিকে এলাকার এক যুবক তাকে দোকান থেকে ডেকে নিয়ে যান। শুক্রবার সকালে দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের জিরারগাঁও গ্রামের পাশের একটি ডোবায় নুর আলমের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। লাশের শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নুর আলম সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার রঙ্গারচর ইউনিয়নের দর্পগ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।